রাত ১:৩৮ | রবিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

অনিচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের নীতিসহায়তার সুপারিশ এফবিসিসিআই’র

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২৬ জানুয়ারি ২০২৫

 

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সুদের হার স্থিতিশীল রাখা, ডলারের জোগান স্বাভাবিক রাখাসহ অনিচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের নীতিসহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে অর্থনীতিতে পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে বেশকিছু সুপারিশ জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানাকে নীতিসহায়তা প্রদান, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়জনিত ক্ষতি মোকাবিলায় উদ্যোক্তাদের সহায়তা, সময়মতো এক্সপোর্ট বিল পরিশোধ, এসএমই এবং কৃষি খাতের জন্য বিশেষ ঋণ সুবিধা সম্প্রসারণসহ দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে এফবিআইয়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের মতবিনিময় সভায় এসব সুপারিশ তুলে ধরেন সংগঠনটির প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান।

হাফিজুর রহমান বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতিযােগিতা সক্ষমতা ধরে রাখা ও বিনিয়োগের স্বার্থে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার স্থিতিশীল রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া সুদের হার ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনতে বলা হয়েছে। অপরিশোধিত ঋণের কিস্তি যে তারিখে পরিশোধে জন্য নির্ধারিত থাকবে সে তারিখ থেকে পরবর্তী ৬ মাস অতিক্রম হওয়ার পর মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, সেই সময়সীমা নয় মাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমদানি-রপ্তানি উৎপাদন কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখার স্বার্থে বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার জোগান স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার অনুরোধ করেছি। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বার্থে প্রয়ােজনীয় পলিসি সহায়তা প্রদানের অনুরােধ করেছি।

সভায় স্থানীয় শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বজায় রাখতে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন ব্যবসায়ী নেতারা।

এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ ব্যাংক নিবিড়ভাবে কাজ করছে। অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহযোগিতা আহ্বান করেন তিনি।

সভায় অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম হায়দার, সাবেক পরিচালক আব্দুল হক, মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী (খোকন), শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) আহসান খান চৌধুরী, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি এসএম ফজলুল হক, এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো. আলমগীর, সাধারণ পরিষদ সদস্য জাকির হোসেন নয়ন ও মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

টি আই / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *