রাত ৩:০৩ | রবিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

অন্যথায় ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি : প্লাস্টিকের পাদুকায় আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি ব্যবসায়ীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ জানুয়ারি ২০২৫

 

 

প্লাস্টিক ও রাবারের হাওয়াই চপ্পল এবং প্লাস্টিকের পাদুকার ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতি। আজ ২৫ জানুয়ারি শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

সাংবাদিক সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা জানান, তারা আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আবেদন করেছে। সরকার যদি আগামী সাত দিনের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে তাহলে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে সংগঠনটি। এরপরেও কাজ না হলে চুড়ান্ত পর্যায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে তারা।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বেলাল। তিনি বলেন, পাদুকা ব্যবসায়ীরা প্রতি জোড়া একশত পঞ্চাশ টাকায় নিন্মবিত্ত মানুষের মাঝে বিক্রি করছে। সম্প্রতি এতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করার ঘোষণা দেয় এনবিআর। তিনি বলেন, মালিক সমিতি মনে করছে, গত দুই বছরের বেশী সময় ধরে দেশে যেখানে উচ্চ মূল্যস্ফিতি বিরাজ করছে সেখানে ভোক্তার কাছ থেকে কোন ভাবেই ১৫% ভ্যাট আদায় করা সম্ভব নয়। চাইলেই পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা যায় না। অথচ বিগত সরকারের আমলে পরিষেবার ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে শ্রমিকদের মজুরি। দৈনন্দিন খাদ্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির জের তো আছেই। উচ্চ মূল্যস্ফিতির কারনে এমনেই ব্যবসা ৩০-৪০% কমে গিয়েছে। এই অবস্থায় ভ্যাট বাড়লে পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে।

তিনি আরো বলেন, যেদিন থেকে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে সেদিন থেকেই এই পণ্যের ভ্যাট অব্যাহতি ছিলো। এমনকি রি-সাইক্লিং হইতে তৈরিকৃত দানার কোন ভ্যাট নাই। কিন্তু এই পণ্যের উপর কেন বা কি কারনে ভ্যাট আরোপ হবে? অথচ রাবারের ও প্লাষ্টিকের চপ্পল রিসাইকেলিং এর মাধ্যমে উৎপাদন হয়ে থাকে। যা পরিবেশ দূষণ রোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। তাহলে এই পণ্যে ভ্যাট কেন?

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, নিম্ন আয়ের এই পণ্যের উপর ভ্যাট ও করের বোঝা চাপানো হলে দেশের শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের বৃহৎ জনগোষ্টি যথাঃ কৃষক-শ্রমিক, দিনমজুর, রিক্স্রা/ভ্যান ওয়ালা, ভিক্ষুক সহ প্রান্তিক জনগোষ্টি সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। যে হারে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে তাতে উক্ত পণ্য ভোক্তার ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাবে। আর ভোক্তারা ক্রয় ক্ষমতা হাড়ালে এই পণ্যের অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। ব্যবসায়ীদের মতে ভ্যাট আইন/ ভ্যাট আরোপ আমরা সমর্থন করি। কিন্তু তা গরিব দুঃখিদের জন্য কোন ভাবেই না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর আগের সরকার ভ্যাট যোগ করার কথা বলেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তারা সেটি বাতিল করেছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস (রানা), সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম, সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহজাহান রহমান (সাজু), সহ-সাংগঠনিক আতিকুর রহমানসহ পাদুকা প্রস্তুতকারক বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালক ও শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

জা ই / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *