রাত ১১:১৪ | শনিবার | ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ব্যাহত হবে পরিবেশ দূষণ রোধ : দেড়শ টাকার ‘পাদুকা’য় ভ্যাট আরোপে প্ল্যাষ্টিক পণ্যে ‘রি-সাইক্লিং’য়ে স্থবিরতার আশংকা

বিশেষ প্রতিবেদন

 

মোহাম্মদ জাফর ইকবাল

২৪ জানুয়ারি ২০২৫

 

ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তৈরি হচ্ছে সুতা, কম্বল, পাদুকা, সিনথেটিক কার্পেটসহ নানা মূল্যবান বস্তু। আর এই প্লাস্টিক বর্জ্য রপ্তানি থেকে বছরে দেশে প্রবেশ করে কয়েক কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা। প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে বন্ধ্যা হচ্ছে মাটি, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। সেই বর্জ্য থেকেই জীবিকার ব্যবস্থা হয়েছে সাত লক্ষাধিক মানুষের। কুড়িয়ে নেওয়া এসব ফেলনা প্লাস্টিক রি-সাইক্লিং করার জন্য রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে উঠেছে দেড় হাজারের অধিক ছোট-বড় ফ্যাক্টরি। ফ্যাক্টরিগুলোয় কাজ করছে শক্ষাধিক মানুষ। প্লাস্টিক পণ্য কুড়িয়ে এসব ফ্যাক্টরিতে কাঁচামালের জোগান দিচ্ছে অগণিত পরিবেশ বন্ধু (টোকাই)।

সূত্র মতে, এই শিল্পের বড় একটি অংশ তৈরী করে কমদামি পাদুকা। যার ব্যবহারকারী হচ্ছেন নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্তরাই। বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্ততকারক সমিতির তথ্য মতে রাজধানী ঢাকাতেই গড়ে উঠেছে ৬ শতাধিক পাদুকা শিল্প। এছাড়া দেশের বিভিন্নস্থানে রয়েছে আরও হাজার খানেক পাদুকা শিল্প। কিন্তু সম্প্রতি এই পণ্যের মূসক অব্যাহতি প্রত্যাহারের ফলে দরিদ্র শ্রেণী ও দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী অতি দরিদ্র ভোক্তার অযাচিত খরচ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হবে বলে আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, মূসক অব্যাহতি প্রত্যাহারের ফলে পার্শ্ববর্তী দেশ হতে বিভিন্ন উপায়ে উক্ত পণ্য প্রবেশ করবে। যার দরুন বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হবে। এই শিল্পের ইন্ডাষ্ট্রিয়ালাইজেশন ব্যাহত হবে। একইসাথে পরিবেশ দূষনকারী প্ল্যাষ্টিক পণ্যের রি-সাইক্লিং কার্যক্রম স্থবির হয়ে যাবে। ব্যাহত হবে পরিবেশ দূষণ রোধে প্রত্যক্ষ কার্যক্রম। এর ফলে শিল্পের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে বিরুপ প্রভাব পড়বে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হুমকির সম্মুক্ষিন হবে। সংশ্লিষ্টরা জারীকৃত মূসকের বিধান বাতিল করে পূর্বের উপর্যুক্ত অব্যাহতি সুবিধা পূণঃ বহালের দাবি জানান। অন্যথায় তারাও রাজপথে আন্দোলনে যাবার কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানান।

বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্ততকারক সমিতি জানায়, তাদের অধীনে থাকা পাদুকা প্রস্তুতকারক কারখানা সমূহ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি পাদুকা শিল্পের প্রসার ও উন্নয়নে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একইসাথে আগামী দিন গুলোতেও উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে তারা সচেষ্ট। অপচনশীল পরিত্যক্ত প্ল্যাষ্টিক ও রাবার রি-সাইকেলিং করার মাধ্যমে তারা টোকাই ও অতিদরিদ্র জনগোষ্টির জীবিকা নির্বাহের কাজ করছে। ফলে পরিত্যক্ত/ স্ক্রাপ পণ্য সংগ্রহ করায় ঐ সকল ছিন্নমূল মানুষের কর্ম সংস্থানের সুযোগও বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে অপচনশীল রাবার এর চপ্পলশীল ও প্লাষ্টিক এর চপ্পল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধে সহায়ক হয়েছে।

জানা গেছে, এসব অপচনশীল প্লস্টিক জাতীয় পণ্য দ্বারা নিম্ন আয়ের মানুষের কথা বিবেচনা করে ১৫০ টাকা মূল্যের রাবারের হাওয়াই চপ্পল এবং প্লাস্টিকের পাদুকা সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে রাবারের হাওয়াই চপ্পল এবং প্লাস্টিকের পাদুকার ব্যবহার নিশ্চিতে পাশাপাশি লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের কাজ করার ব্যবস্থাও করেছে। এর ফলে গত দুই দশকে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা লক্ষনীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জনস্বাস্থ্যের প্রভূত উন্নতি হয়েছে। দেড়শ টাকার মধ্যে এই ধরনের পাদুকা ব্যবহার করেন হত দরিদ্র ও দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী বৃহৎ জনগোষ্টি। এর মধ্যে রয়েছে কৃষক-শ্রমিক, দিনমজুর, রিক্সা/ভ্যানওয়ালা, ভিক্ষুক সহ প্রান্তিক জনগোষ্টি।

জানা গেছে, প্লাস্টিক ও রাবারের হাওয়াই চপ্পল এবং প্লাস্টিকের পাদুকা প্রতি জোড়া একশত পঞ্চাশ টাকা মূল্য সীমা পর্যন্ত (অনপণীয় কালিতে মুদ্রিত/খোদাইকৃত থাকার শর্তে’ এর উৎপাদন পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে আরোপণীয় সমূদয় মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি ছিল। সম্প্রতি সেই সুবিধা বাতিল করে সরকার রাবারের হাওয়াই চপ্পল এবং প্লাস্টিকের পাদুকার উপর ১৫% হারে ভ্যাট আরোপ করে। এইরূপ ভ্যাট আরোপের ফলে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির উপর এর প্রভাব সহজেই অনুমেয় বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্ব গতিতে দিশেহারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী স্বাভাবিকভাবেই তাদের আয় বৃদ্ধিতে সক্ষম না হলেও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হিসাবে বিবেচিত রাবারের হাওয়াই চপ্পল এবং প্লাস্টিকের পাদুকার মূল্য বৃদ্ধিতে উহা ক্রয়ে অসমর্থ ও অনাগ্রহী হয়ে পড়বে। যার ফলশ্রুতিতে বাজারে রাবারের হাওয়াই চপ্পল এবং প্লাস্টিকের পাদুকার বিক্রি তথা চাহিদা লোপ পাবে। একপর্যায়ে এই শিল্পে কর্মরত লক্ষ লক্ষ মানুষ ও তাদের পরিবার বর্গের স্বাভাবিক জীবিকা অর্জন হুমকির সম্মুখীন হবে।

জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশে বিশেষ করে ভারতে এই পণ্যে পাঁচশত টাকা মূল্য সীমা পর্যন্ত মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে এর থেকে অনেক কম টাকার মূল্যেও ভ্যাট যোগ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস রানা দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, ১৫০ টাকা মূলেমানের পাদুকার উপর মূসক অব্যাহতি প্রত্যাহারের ফলে দরিদ্র শ্রেণী ও দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী অতি দরিদ্র ভোক্তার অযাচিত খরচ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হবে। ভ্যাট যোগ হলে পার্শ্ববর্তী দেশ হতে বিভিন্ন উপায়ে উক্ত পণ্য প্রবেশ করবে। যার দরুন বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হবে। এই শিল্পের ইন্ডাষ্ট্রিয়ালাইজেশন ব্যাহত হবে। এমতাবস্থায় প্লাস্টিক ও রাবারের হাওয়াই চপ্পল এবং প্লাস্টিকের পাদুকা প্রতি জোড়া একশত পঞ্চাশ টাকা মূল্য সীমা পর্যন্ত মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি সুবিধা পূণঃবহাল এখন সময়ের দাবি।

বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতির উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বেলাল দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, গত দুই বছরের বেশী সময় ধরে দেশে যেখানে উচ্চ মূল্যস্ফিতি বিরাজ করছে সেখানে ভোক্তার কাছ থেকে কোন ভাবেই ১৫% ভ্যাট আদায় করা সম্ভব নয়। চাইলেই পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা যায় না। অথচ বিগত সরকারের আমলে পরিষেবার ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে শ্রমিকদের মজুরি। দৈনন্দিন খাদ্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির জের তো আছেই। এই অবস্থায় ভ্যাট বাড়লে পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে। তিনি আরো বলেন, যেদিন থেকে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে সেদিন থেকেই এই পণ্যের ভ্যাট অব্যাহতি ছিলো। এমনকি রি-সাইকেলিং হইতে তৈরিকৃত দানার কোন ভ্যাট নাই। কিন্তু এই পণ্যের উপর কেন বা কি কারনে ভ্যাট আরোপ হবে? ভোক্তারা ক্রয় ক্ষমতা হাড়ালে এই পণ্যের অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।

ব্যবসায়ীরা জানান, ইতিমধ্যে আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে তারা আবেদন করেছে। পাশাপাশি সরকারকে আগামী সাত দিনের মধ্যে এই ধরনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। তারা যদি এই সময়ের মধ্যে আরোপিত ভ্যাট এর প্রস্তাব থেকে সরকার সরে না আসে তবে স্বেচ্ছায় কারখানার উৎপাদন কার্য্যক্রম বন্ধ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর সামনে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে সংগঠনটি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে প্রতিনিয়ত বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্লাস্টিক বর্জ্য। এটি অপচনশীল অবস্থায় দীর্ঘদিন পরিবেশে থেকে যায়। এক জরিপে দেখা গেছে, বিশ্বের মোট ব্যবহৃত প্লাস্টিকের ৭৯ শতাংশ মাটিতে, ১২ শতাংশ পুড়িয়ে এবং মাত্র ৯ শতাংশ পূনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয়। অর্থাৎ ৭৯ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্যই দীর্ঘদিন পরিবেশে (মাটি ও পানিতে) থেকে যায়। এই বর্জ্যরে মধ্যে রয়েছে মিনারেল ওয়াটার/জুস কোমল পানীয় বোতল, প্লাস্টিকের পলিব্যাগ ও প্লাস্টিকের চালের বস্তা। অন্যসব দেশের মত উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় বাংলাদেশে পরিবেশগত মারাত্মক হুমকি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে যারা প্লাস্টিক পণ্য রি-সাইক্লিং করে নিন্ম আয়ের মানুষের পাদাকার ব্যবস্থা করছে, সেখানে ভ্যাট আরোপ করায় সেটির উৎপাদন কার্যক্রমে বাধাগ্রস্থ হবে। ফলে প্লস্টিক বজ্য ব্যবস্থাপনায় মারাত্বক ব্যঘাত ঘটতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা শহরে দৈনিক ছয়হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। সে সঙ্গে দেশের সব সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় বর্জ্য উৎপাদনের হার বেড়েই চলছে। এই প্লাস্টিকের বোতল ও পলিথিন বর্জ্যগুলো মাটি/পানির সাথে মিশে মাটির গুনাগুন নষ্টের সঙ্গে পানিতে থাকা জীববৈচিত্রের ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে। খাল, নদী ও সাগরে প্লাস্টিকের বোতল ও পলিথিনের পরিমান দিন-দিন বেড়েই চলছে।

২০১২ সালের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিলো যে, প্রায় ১৬৫ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় আছে, যা প্রায় ৭০০ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। সমুদ্রে যে হারে প্লাস্টিকের বোতল ও পলিথিন বাড়ছে এ অবস্থা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতের জন্য পৃথিবী মারাত্মকভাবে ভয়ানক হয়ে উঠবে। সমুদ্র বিজ্ঞানীদের মতে, সমুদ্রের পানির উষ্ণতা বৃদ্ধির পর দ্বিতীয় বড় হুমকিটি প্লাস্টিক বর্জ্য। ঢাকা শহরে পানিবদ্ধতা ও রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুকির প্রধান কারণগুলোর মধ্যে প্লাস্টিক বর্জ্য অন্যতম। মাটির স্তরে-স্তরে প্লাস্টিকের বোতল ও পলিথিন বর্জ্য বৃদ্ধির ফলে ভূগর্ভস্থ জলাধারগুলো সঠিকভাবে পরিপূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না।

পরিবেশ বিশ্লেষক আরিফুর রহমান আরিফ বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্য দূষণ রোধে নতুন করে ভাবতে হবে। এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে প্রচারনা, সচেতনতা ও জনমত তৈরীতে উদ্যোগ নিতে হবে। প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদনকারী সংস্থাগুলো রিসাইক্লিং বা পূনঃচক্রায়ন ব্যবস্থা গড়ে তোলায় উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। পরিবেশসম্মত বর্জ্য রি-সাইক্লিং ব্যবস্থায় গুরুত্ব দিতে হবে। যারা এটিকে শিল্পে রূপ দিচ্ছে তাদের সহযোগিতা করতে হবে।

সূত্র মতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১২,২১,২৫০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার মধ্যে কেবল ৭,২৭,৪২৫ টন প্লাস্টিক রি-সাইকেল করা হয়। বাকিগুলো পড়ে থাকে সম্পূর্ণ অব্যবস্থাপনায়। বাংলাদেশে দেড় হাজার প্লাস্টিক রি-সাইক্লিং কারখানা থাকলেও সরকারের অসহযোগিতায় দেশজুড়ে উৎপন্ন প্লাস্টিক বর্জ্যর কেবল অর্ধেকই পরিশোধিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন যদি রাবারের পাদুকা ও চপ্পল তৈরীকারকদের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়, তাহলে এই রি-সাইক্লিং আরো হ্রাস পাবে।

এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ড. আলী নূর জানান, যেহেতু এ শিল্পটি আমাদের পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছে তাই শিল্প রক্ষায় সরকারের ভ্যাট বসানোর পরিবর্তে ইনসেনটিভ বাড়ানো উচিত। এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর এগিয়ে আসতে হবে। ব্যাংকগুলোকে ভাবতে হবে, এটা আমাদের একটা সম্ভাবনাময় শিল্প।

 

জা ই / এনজি

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *