দুপুর ১২:৪৬ | রবিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় গেলে ‘পতিত ফ্যাসিস্টদের’ বিচার করবো : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ জানুয়ারি ২০২৫

 

 

বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় গেলে ‘পতিত ফ্যাসিস্টদের’ বিচার করবে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার দুপুরে গুলশান চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘‘ যে ফ্যাসিজম বলেছেন, এটার বড় শিকার বিএনপি… আমাদের ওপরে যে নিপীড়ন-নির্যাতন-গুম হয়েছে এটা আর কার ওপরে হয়েছে? এমকি অন্যান্যদলগুলোর মধ্যে… আমরা এবং জামায়াতে ইসলাম সবচেয়ে বেশি এ্যাফেক্টেড হয়েছি… আমাদের ওপরে অত্যাচারটা তো আমাদের ওপরে সবচেয়ে বেশি হয়েছে।”

‘‘আমরা ফ্যাসিস্টদের বিচার করবো না তো কে বিচার করবে… আমরা যদি ক্ষমতায় আসি। আর যেটা(বিচার) শুরু হয়েছে এখান থেকে সরে যাওয়ার কারো কোনো উপায় নেই। অবশ্যই বিচার হবে। আবার বিচার তড়িগড়িও করা যাবে না। তড়িগড়ি করলে কিন্তু এই বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। বিচার একটা প্রক্রিয়া এটা চলবে… অবশ্যই আমরা সেই বিচার শেষ করবে এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই।”

‘নির্বাচন প্রশ্নে দ্বিমত নেই’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ দেখুন প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের একটা স্বকীয়তা আছে, তাদের চিন্তাভাবনা আছে। আমরা মনে করি, এই এই কারণে নির্বাচন দ্রুত করা সম্ভব, অসম্ভব কিছু না। জামায়াতে ইসলাম তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে বলেছেন, আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে বলেছি।”

‘‘আমাদের সাথে যুগপৎ আন্দোলন যারা করেছেন তাদের সকলের সঙ্গে আমরা ইতিমধ্যে কথা বলেছি… তারা প্রত্যেকে বলেছেন, নির্বাচন দ্রুত হওয়া দরকার। এই ব্যাপারে আমাদের মধ্যে কারো দ্বিমত নেই। সমমনা দল, বাম দল ডান দল, যতগুলো আছে সবাই ইতিমধ্যে… আপনারা দেখেছেন যে, সিপিবি বলেছেন যে, দ্রুত নির্বাচনের ব্যাপারে স্ট্যাটমেন্ট দিয়েছেন।আর জামায়াতে ইসলামী যে নির্বাচনের ব্যাপারে যে পার্থক্য খুব বেশি আছে দেখি না।গত কয়েকদিন আগেও উনি(আমির শফিকুর রহমান) নির্বাচন করা দরকার, আগে জাতীয় সংসদ নির্বা্চন করা দরকার। তাই পার্থক্য কোনো দেখছি না।”

‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ অন্তবর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সাহেবের কাছ থেকে ঘোষণার খসড়াপত্র পেয়েছি এবং উনি অনুরোধ করেছেন যে, এই বিষয়ে আমাদের মতামত জানানোর জন্য।”

‘‘ বিষয়টা এতো বেশি সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ যে এটা একদিনের নোটিশে করা সম্ভব না। আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছি, আমরা আরও আলোচনা করছি… আমাদের অন্যান্য দলগুলো আছে তাদের সাথে আলোচনা করতে হবে। শুধু তাই নয়, সংবিধান বিশেষজ্ঞ যারা আছেন তাদের সঙ্গেও কথা বলতে হবে কারণ এই ঘোষণাপত্রের মধ্যে সংবিধানের ব্যাপারেও বহু কথা আছে.. যেটি আমাদের দেখতে হয়। এটা সুতরাং আমাদের ওই সময়টুকু লাগবে আর কি, আমরা চেষ্টা করছি, আলোচনা করছি এটা ওপরে।”

তিনি বলেন, ‘‘ বিএনপি একটা দায়িত্বশীল দল এর জন্ম সেই জন্মই কিন্তু সংস্কারের মধ্য দিয়ে। অর্থাৎ আমাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়া্উর রহমান সাহেব তিনি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে এসেছিলেন যা সবচেয়ে বড় সংস্কার… এটা একটা মৌলিক সংস্কার ওয়ান পার্টি সিষ্টেম টু মাল্টি পার্টি সিষ্টেম, এটা ক্লোজড পলিটিক্যাল সিচুয়েশন থেকে ওপেন পলিটিক্যাল সিচুয়েশন, আবার অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও একটা ক্লোজড ইকোনমি থেকে ওপেন ফ্রি ইকোনমিতে নিয়ে আসা… এই কেয়ারটেকার গভমেন্ট এখন সবাই মানতেছে… তাই না…. এই যে সংস্কার কমিশন করেছে তারাও এই কেয়ারটেকার সরকারের কথাই বলবেন।”

‘‘ সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া, প্রতিদিন প্রতি মুহুর্তে বদলাতে পারে, চেইঞ্জে হতে পারে… চেইঞ্জ ছাড়া তো এগুবে না, সভ্যতা এগুবে না, রাজনীতি এগুবে না, কোনো কিছুই এগুবে না।”

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান উপস্থিত ছিলেন।

 

জা ই / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *