রাত ৪:৩৯ | রবিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচন করবেন না অলি আহমদ, তবে ছেলেকে আনছেন ভোটের মাঠে

বিশেষ প্রতিনিধি

১৪ অক্টোবর ২০২৪

 

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আর অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান অলি আহমদ বীরবিক্রম। তবে ভোটের মাঠে নিজের বদলে তিনি তাঁর বড় ছেলে ওমর ফারুককে নামাচ্ছেন।

আজ সোমবার প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে অলি আহমদ বলেছেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশের জনগণের চাওয়া অনুযায়ী আমি সেখান থেকে ছেলেকে নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ প্রসঙ্গত সাতকানিয়া, চন্দনাইশ এলাকা নিয়ে এটি সংসদের চট্টগ্রাম–১৪ আসন।

অলি আহমদ আর নির্বাচন না করলেও রাজনীতি ছাড়ছেন না। তিনি বলেন, ‘এলডিপির প্রধান হিসেবে রাজনীতি করব। এলাকার মানুষ চাইছে বলে আমার ছেলে সংসদ নির্বাচন করবে। আমি নিজে নির্বাচন করব না।’

গত শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ধর্মপুর ইউনিয়নে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও বক্তব্য দেন অলি আহমদ। সে সময়ই অলি আহমদ আর নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন এবং তাঁর বড় ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুককে মণ্ডপে উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। ওমর ফারুক এলডিপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য।

অলি আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি সাতকানিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন পথসভায় জনগণের উদ্দেশে বললাম, ‘আমার জায়গায় কে থাকবেন, এটা আপনাদের চিন্তা। আমি আমার বড় ছেলেকে তৈরি করেছি। আপনারা কি তা চান। উত্তরে তাঁরা হ্যাঁ বললেন। তাঁদের চাওয়াকে সম্মান দিয়ে আমি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছি।’

কিন্তু রাজনীতিতে এখন পরিবারতন্ত্র নিয়েও আলোচনা সামনে এসেছে। সেখানে নিজে নির্বাচন করবেন না, কিন্তু ছেলেকে নামাচ্ছেন ভোটের মাঠে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অলি আহমদ বলেন, জনগণ শিক্ষিত ও যোগ্য ব্যক্তিকে চায়। সে হিসেবে ছেলে শিক্ষিত ও যোগ্য হলে কেন রাজনীতি করতে পারবে না? তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে যুক্তরাষ্ট্র ও লন্ডনে লেখাপড়া করেছে। ২০ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষতা করে। এখন রাজনীতিতেও সম্পৃক্ত।’

 

অলি আহমদ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ২০০৬ সালে বিএনপি থেকে বেরিয়ে গিয়ে এলডিপি গঠন করেন।

 

জা ই / এনজি

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *