নিজস্ব প্রতিবেদন
১৩ অক্টোবর ২০২৪
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মিজানুর রহমান আজহারীকে দেশ ছাড়ার আগে হাসিনা সরকার হুমকি দিয়ে বলেছিল, ‘তুমি কি বাঁচতে চাও, না তোমার জীবন শেষ করে দিতে চাও? যদি তুমি বাঁচতে চাও তাহলে দেশ ছাড়ো। আর বাঁচতে না চাইলে দ্বিতীয়টির জন্য প্রস্তুতি নাও’। তখন তার জীবন ঝুঁকিতে পড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে একজন নিরীহ নাগরিকের কী আর করার থাকে? তিনি তো বাধ্য হয়েই দেশ ছেড়েছেন। এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্য।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগ আমলে আজহারীর দেশত্যাগ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন জামায়াত আমির।
আজহারীকে জাতীয় সম্পদ উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, তিনি কোনো দল ও গোষ্ঠীর সম্পদ নন, তিনি দেশের জন্য বিশাল সম্পদ। তার কথায় লাখ লাখ তরুণ উজ্জীবিত হন। যারা বিপদগামী ছিলেন তারা পথ খুঁজে পেতেন। এর আগে এই কাজটি করতেন আমাদের আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। জাতির এই কণ্ঠকে লোহার খাঁচায় বন্দি (কারাবন্দি) করার পর আল্লাহ তায়ালা মিজানুর রহমান আজহারীকে দেশের সম্পদ হিসেবে দান করেন কিন্তু কপাল পোড়া এই জাতি তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য উঠেপড়ে লেগে গেল। মারার হুমকি দিয়ে তাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হলো।
জামায়াত আমির মনে করেন, এ ধরনের সম্পদের যদি জাতি সমাদর না করে তাহলে এর চাইতে বড় দুর্ভাগা আর কী হতে পারে?
আজহারীকে নিয়ে আপনাদের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, তিনি এ দেশের সম্পদ। আমি চাই তিনি দেশেই থাকুক। দেশ ও জাতির খেদমত করুক। তরুণদের নিয়ে কাজ করুক। জাতিকে নিয়ে কাজ করুক। এটিই আমাদের চাওয়া। দেশের মানুষও এমনটা প্রত্যাশা করে। কারণ আজহারীকে যারা ভালোবাসে বা তার সমর্থকরা কোনো নির্দিষ্ট দলের না।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া চলে যান মিজানুর রহমান আজহারী। এরপর থেকে মালয়েশিয়াতেই অবস্থান করছিলেন তিনি। গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রায় সাড়ে চার বছর পর ২ অক্টোবর দেশে ফেরেন আজহারী। এরপর ১১ অক্টোবর মালয়েশিায় ফিরে যান জনপ্রিয় এই বক্তা।
টিআই / এনজি