দুপুর ১:১৭ | রবিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ইন্ধন দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না, বললেন ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক :

 

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং চাকরির কোটার বিরোধিতায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিএনপি ইন্ধন দিচ্ছে বলে ক্ষমতাসীনদের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (৮ জুলা্ই) গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে মন্ত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, “আমাদের কখনই এই ধরনের আন্দোলনে ইন্ধন দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না।
“এসব আন্দোলন তাদের নিজস্ব…প্রফেশনাল জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা করছেন, ছাত্ররা করছেন, ছাত্রীরা করছেন। আমরা এখানে ইন্ধন দিতে যাব, কোনো প্রশ্নই উঠে না।”

তবে এসব আন্দোলনেকে বিএনপি ‘যৌক্তিক’ মনে করে জানিয়ে তিনি বলেন, “যেটা সত্যি, সেটা সত্যি বলব। যেটা যৌক্তিক, সেটা যৌক্তিক বলব….এটা আমরা সব সময় বলছি।”
চলমান দুই আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এটাকে আমরা দুইভাবে দেখি। একটা হচ্ছে, দেশে বিপুল সমস্যা আছে, সেটাকে ডাইভার্ট করার জন্যে আন্দোলন তৈরি করা হচ্ছে। কোটাবিরোধী ছাত্রদের দাবিকে আমরা সমর্থন করি, কারণ এটা যৌক্তিক দাবি। এটাকে আমরা অযৌক্তিক বলার কোনো কারণ দেখি না।
“৫০ বছর পরেও ৫৬% আপনি কোটা দিয়ে রাখবেন, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এখানে যেটা হচ্ছে মেধার বিকাশ হচ্ছে না, মেধাবীদের এডমিনিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন জায়গাগুলোতে নিতে পারছেন না। একটা বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।”

শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, “শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক। আপনি এর আগে একরকম কথা বলেছেন, এখন করছেন আরেক রকম। আপনি বলেছেন যে, যারা পেনশন পায় তাদের কোনো দরকার নেই। যারা বাইরে পেনশন পায় তাদেরকে নিয়ে আসতে পারে….ঐচ্ছিক এখন কম্পালসরি করে দিয়েছেন।
“কারণ হচ্ছে সরকারের আর্থিক খাতে যে দুরাবস্থা, তাদের টাকা-পয়সা সব শেষ হয়ে গেছে। এখন তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে মানি নিয়ে আসছে। বিভিন্ন অটোনোমাস বডি আছে, এদের মধ্যে অনেকগুলো বডি আছে, যাদের কাছে বহু সারপ্লাস মানি ছিল, সেগুলো নিয়ে নিয়েছে। কোথাও কিছু বাকি রাখছে না, সব নিয়ে ফেলছে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “এটা বাস্তব কথা। আমরা বার বার বলছি, এই সরকারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, সবাই দুর্নীতিবাজ। এত বেশি দুর্নীতি করেছে যে, এখন ডেট ট্র্যাপে পড়ে যাচ্ছে। সেই ফাঁদে পড়ে যাওয়ার কারণে এখন তারা চতুর্দিক থেকে একটা ঋণ নিয়ে আরেকটা ঋণ শোধ করা, আরেকটা ঋণ নিয়ে আরেকটা ঋণ শোধ করা, এভাবে চলছে।”

 

মহানগরের নতুন নেতাদের সাক্ষাৎ

দুপুরে গুলশানের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মহানগর উত্তরের বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব, সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।

রোববার বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণসহ বরিশাল, চট্টগ্রাম মহানগরের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে।

জা/ই : এন জি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *