সকাল ৯:৪৩ | রবিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

নাটোরে হত্যাসহ ৪ মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস

প্রতিনিধি, নাটোর
০৪ অক্টোবর ২০২৪

 

নাটোরে একই আদালত থেকে হত্যা মামলাসহ চারটি মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার (দুলু)। বৃহস্পতিবার বিকেলে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত এসব রায় ঘোষণা করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ চারটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। চারটি মামলার মধ্যে একটি নাটোর শহরে যুবলীগ কর্মী মো. রাজীব হত্যা মামলা এবং অন্য তিনটি সরকারি ত্রাণের ঢেউটিন আত্মসাতের অভিযোগে করা হয়েছিল।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মাসুদ হাসান বলেন, চারটি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। সাক্ষীরা কেউই ঘটনার সঙ্গে আসামিদের সম্পৃক্ততা প্রমাণ করতে পারেননি। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদারসহ অন্যরা আদালতে হাজির ছিলেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী রুহুল আমীন তালুকদার  বলেন, ২০১৫ সালের ২৯ আগস্ট নাটোর শহরের স্টেশন বাজারে পৌর যুবলীগের জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে আসার সময় তেবাড়িয়া মামুন বেকারির সামনে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় হুগোলবাড়িয়া মহল্লার আমিন আলীর ছেলে মো. রাজীব নিহত হন। তিনি যুবলীগের কর্মী ছিলেন। এ ঘটনায় নিহত রাজীবের স্বজন কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে মামলায় রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ ৩৩ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। পরে মামলাটি বিচারের জন্য অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে আসে। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছা. কামরুন্নাহার বেগম আসামিদের খালাস দেন।

রুহুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, ‘মামলাগুলো সবই রাজনৈতিক আক্রোশ থেকে করা। পুলিশকে প্রভাবিত করে মামলায় আমাদের আসামি করা হয়েছিল। আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় আদালত খালাস দিয়েছেন।’

ওই মামলায় অন্যদের মধ্যে সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফয়সাল আলম আবুল ব্যাপারী, তাঁর বড় ভাই কাজল ব্যাপারী, কামাল ব্যাপারী, ছোট ভাই জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম ব্যাপারী প্রমুখ আসামি ছিলেন।

এ ছাড়া ২০০৭ সালে রুহুল কুদ্দুস তালুকদারের ব্যক্তিগত সহকারী শফিকুল ইসলামকে সাতটি ও শহরের হাজরা নাটোরের দিনমজুর দারু মিয়াকে (৬৮) চারটি সরকারি ত্রাণের ঢেউটিন বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। এসব মামলাও একই আদালতে বিচার হয়। বিচারে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের খালাস দেওয়া হয়।

 

টিআই / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *