রাত ৪:২৮ | রবিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আট বিভাগীয় শহরে গণসংলাপ অনুষ্ঠানে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণসংহতি আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ অক্টোবর ২০২৪

 

 

রাষ্ট্র পূর্ণগঠনে করণীয় ঠিক করতে নারায়নগঞ্জসহ আট বিভাগীয় শহরে গণসংলাপ অনুষ্ঠানে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণসংহতি আন্দোলন।

আগামী ৪ অক্টাবর থেকে শুরু হবে এই গণসংলাপ।

সংলাপের ঘোষিত কর্মসূচিসমূহ হচ্ছে ৪ অক্টোবর নারায়নগঞ্জ, ১৭ অক্টোবর বরিশাল, ১৮ অক্টোবর খুলনা, ১৯ অক্টোবর রাজশাহী, ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম, ২৬ অক্টোবর রংপুর, ১ নভেম্বর সিলেট, ২ নভেম্বর ময়মনসিংহ এবং ২৯ নভেম্বর ঢাকায় গণসংলাপ হবে।

মঙ্গলবার সকালে হাতিরপুলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ‘‘ এই অক্টোবর মাস থেকে আমরা গণঅভ্যুত্থান মানুষের ভেতরে রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের যে চাহিদা তৈরি করেছে, রাষ্ট্রকে সংস্কার করে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরির যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তার জন্য জনগনের অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে গণংলাপ আয়োজন করেছি।”

‘‘ আমরা অভ্যুত্থানে সক্রিয় অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিকে জনগনের অংশগ্রহন নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই। ”

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।এছাড়া দলের পঞ্চম সম্মেলন উপলক্ষে মঙ্গলবার থেকে সদস্য সংগ্রহ কার্য্ক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গতকাল(সোমবার) গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলনে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের ফলে শ্রমিক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্টু তদন্ত, জবাবদিহিতা ও বিচার চাই।”

‘‘শ্রমিক আন্দোলনের ভেতরে কেউ যাতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অস্থিরতা তৈরি করতে না পারে সেই বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে। তাই বলে শ্রমিক আন্দোলন দমন করতে গিয়ে শ্রমিক হত্যাকান্ডের পুরনো রীতি কোনোভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। আমরা মনে করি, শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার প্রতি সহানভুতিশীল থেকেই বর্তমান পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানে যেতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ হবে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা নিশ্চিত করা, আহতদের সম্ভাব্য সমস্ত ধরনের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং তাদের সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচার করা। ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সেটাই হবে প্রথম পদক্ষেপ। এসব বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে আমরা আরও সুনির্দিষ্ট, দ্রুত ও স্বচ্ছ করার এবং জনগণের কাছে তার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।

আসন্ন দূর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায় যাতে উতসবমূখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারে সেজন্য সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানায় গণসংহতি আন্দোলন।

সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির্ উদ্দীন পাপ্পু, কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক রায়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলিফ দেওয়ান, মিজানুর রহমান মোল্লা, মনিরুল হুদা বাবন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

জা ই / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *