নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ আগস্ট ২০২৪
বিগত আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের ছত্রছায়াায় দখল-চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করার পর কয়েকদিন নিরব থেকে ফের আগের কর্মকান্ড শুরু করেছে মোহম্মদপুরের জিল্লর বাহিনী। আওয়ামী লীগ নেতা বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী মোজাম্মেল হকের হয়ে কাজ করা ৪২ মামলার আসামী মো: খোন্দকার জিল্লুর রহমান এখন মোহম্মদপুর আদাবর, বসিলাসহ আশেপাশের এলাকায় দখল চাঁদাবাজী করে যাচ্ছেন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিগত সময়ে দখলের অনন্য নজির স্থাপন করার জিল্লুর বাহিনীর এখন নজর পড়েছে গ্রাম বাংলা হাউজিং প্রকল্পের দিকে।
স্থানীয়রা জানান, আতঙ্ক সৃষ্টি করতে আজ (২৯ আগস্ট) বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টা দিকে ঢাকা উদ্যানের ট্রলারঘাটে ৫টি ককটেল বিস্ফোরণ করে জিল্লুর বাহিনী। এ বিষয়ে গ্রাম বাংলা হাউজিং কতৃপক্ষ পুলিশ ও স্থানীয় পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ জানিয়েছে।
জানা গেছে, সর্বশেষ ২২ আগষ্টও সাভার থানায় জিল্লুর ও তার বাহিনীর উল্লেখযোগ্য সদস্যদের বিরুদ্ধে দখলের অভিযোগে সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে। ডায়েরি নং-১০০৫/২২/৮/২০২৪ ইং।
গ্রাম বাংলা হাউজিংয়ের পরিচালক হাফিজ মোহম্মদ ইদ্রিসের করা এই অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, মো: খোন্দকার জিল্লুর রহমান, মো : সালমান, মোঃ বিল্লাল হোসেন, মিজান, মো: শুক্কুর আলীসহ কয়েকজন গ্রাম বাংলা হাউজিংয়ের কর্মকর্মতা কর্মচারীদের প্রাননাশের হুমকি দিয়ে প্রকল্পটি জোর করে দখলের চেষ্টা করে। জিল্লুর বাহিনী সবাইকে হুমকি-ধামকি দেয়। অভিযোগে আরো বলা হয়, জিল্লুর আকাশ নীলা হাউজিং নামে একটি কাগজপত্র তৈরি করে দখলের চেষ্টা করে গ্রামবাংলা হাউজিংয়ের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আকাশ নীলা হাউজিংয়ের নামে কোন জমি ক্রয় আছে বলে তাদের জানা নেই। এরপরেও আঞ্চলিক পর্যায়ের সন্ত্রাসী আমীর ওরফে কানা আমীর, ফাইটার বেলাল ওরফে দাতভাঙ্গা বেলাল, রাজিব ওরফে জুয়াড়ু রাজিব, শাহজাহান ওরফে সুটার শাহজাহান, সুমন ও রাসেলের মাধ্যমে তারা জমি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
অন্যদিকে গ্রাম বাংলা হাউজিংয়ের পরিচালকদের অধিকাংশই বিগত সরকারের বিপরীত আদর্শের। সঙ্গত কারনে গত ১৪ বছরেও এই প্রকল্প শেষ করা সম্ভব হয়নি। সেই সময় বারবার হানা দিয়েছে এই জিল্লুর বাহিনী। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের শাসনের অবসান হলে এই হাউজিং দ্রত সময়ে শেষ করার ভাবনা ছিল প্রকল্পের পরিচালকদের। কিন্তু জিল্লুর বাহিনী বিএনপির স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে এই প্রকল্প দখলের পাঁয়তারা করছে।
এই অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির কোন নেতা যদি এমন কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকে তা জানার সঙ্গে সঙ্গে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার দাবি, বিএনপির নাম ব্যবহার করে কোন বাহিনীর কোন অপকর্ম করার সুযোগ নেই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করেও জিল্লুর ও তার সহযোগী কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জা ই / এনজি