স্পোর্টস ডেস্ক
ডিপিএলের সুপার সিক্স রাউন্ডে মাঠের খেলা ছাপিয়ে আলোচনার বেশিরভাগ জুড়ে ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। গেল ১২ এপ্রিল আবাহনী ম্যাচে আম্পায়ারের অসদাচরণের কারণে প্রথমে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধের শাস্তি হয়েছিল। পরে এক ম্যাচের শাস্তি কমিয়ে দেওয়া নিয়ে আরও জলঘোলা হয়েছে। হৃদয়ের শাস্তি বাতিলের কারণে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন দেশসেরা আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত।
বিষয়টি নিয়ে ক্রিকেটারদের একদফা বৈঠকও হয় বিসিবি সভাপতির সঙ্গে। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত আসে, হৃদয়ের শাস্তি বহাল থাকছে। তবে তা কার্যকর হবে ডিপিএলের পরবর্তী মৌসুমে। সেই পরিস্থিতির রেশ না কাটতেই গত শনিবার আরও একবার আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ উঠে হৃদয়ের বিরুদ্ধে। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ম্যাচে তিনি আম্পায়ারের দেওয়া আউটের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। যে কারণে আবারও নিষিদ্ধ করা হয় তরুণ এই ক্রিকেটারকে।
হৃদয়ের নামের পাশে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়ায় সবমিলিয়ে হয়েছে ৮ পয়েন্ট। তার নিষেধাজ্ঞাও ৪ ম্যাচের, যে কারণে আজ ডিপিএলের অলিখিত ফাইনালে মোহামেডানের জার্সি গায়ে জড়াতে পারেননি হৃদয়। ম্যাচটিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর বিপক্ষে তার দল হেরেছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে। হারের পর হৃদয় ফেসবুকে একটি বার্তা দিয়েছেন।
তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো— ‘এবারের প্রিমিয়ার লিগে ২২ গজের বাইরেও একপ্রকার অলিখিত যুদ্ধ করে গেলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আর কোনো দলকে এতটা মানসিক যুদ্ধ করতে হয়নি, যতটা মোহামেডান করেছে। প্রতিটি গল্পের দুটি দিক থাকে। হয়তো একপক্ষের চাপে অপরপক্ষ আমাদের কখনও জানার সুযোগ হয় না। তাই ঢালাওভাবে সবটা না জেনেই আমরা কিছু করে বসি বা বলে ফেলি। একদম শুরু থেকে যদি সবটাই বলতে পারতাম তবে কাহিনী হতো ভিন্ন, যেটা বলতে পারছি না, কেন পারছি না তা নাহয় পরেই বলব!

নিজেদের ভেতর অনেক কিছুই হয়, বড়-ছোট সবাই ভুল করে। পরিবারের অপর মানুষটা যেন ছোট বা অপমানিত না হয় সেজন্য নিজেকেও অনেক কিছু নিজের ঘাড়ে নিতে হয়। আবার সহ্য করতে হয়- হোক সেটা অপমান কিংবা ভালোবাসা। এগুলো মিলেই জীবন। আপাতত এটাই বুঝিয়েছি নিজেকে।
মোহামেডানের কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকটি ম্যাচে আমাকে উপস্থিত রাখার জন্য যে চেষ্টা করেছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমার সতীর্থ প্লেয়ার, শ্রদ্ধেয় কোচ ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ভালোবাসা।’
জ উ / এনজি