সকাল ১০:২৭ | রবিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ইসরাইলি সেনা চৌকিতে হিজবুল্লাহর ড্রোন ও রকেট হামলা, বহু হতাহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক 
 ২৪ জুলাই ২০২৪whatsapp sharing button
twitter sharing button
linkedin sharing button
ইসরাইলি সেনা চৌকিতে হিজবুল্লাহর ড্রোন ও রকেট হামলা, বহু হতাহত

 

দক্ষিণ লেবাননের একটি অঞ্চলে ইসরাইলি বিমান হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের সামরিক চৌকিগুলোতে বেশ কিছু ড্রোন হামলা এবং কিরিয়াত শমোনা শহরে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ।

বুধবার হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, শাকরা শহরে শত্রুদের পরিচালিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ হিসাবে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা মেরনের কাছে মাউন্ট নেরিয়া ঘাঁটিতে একটি কমান্ড সেন্টারে কামিকাজে ড্রোনের স্কোয়াড্রন ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের শাকরা শহরে বিমান হামলা চালায়, যাতে হিজবুল্লাহর একজন কমান্ডার নিহত হন।

ওইদন ইসরাইলি হামলায় মিছরি ও খাবার বিক্রির জন্য ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যানে থাকা ওই হিজবুল্লাহ কমান্ডার নিহত হন। এ সময় আহত হন অপর একজন।

একটি ইসরাইলি ড্রোন শাকরার উপকণ্ঠে থাকা গাড়িটিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করলে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত কমান্ডারের নাম সাদেক আতেফ আতাভি।

এর জবাব হিসাবে হিজবুল্লাহ পরে ইসরাইলের রামিম ব্যারাকের আরেকটি কমান্ড সেন্টারে ভারী কামানের গোলা দিয়ে হামলা চালায়।

সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ফালাক নামক রকেট দিয়ে বেইত হিলেল ব্যারাকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর সাহেল ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরেও হামলা চালিয়েছে। এছাড়া ইসরাইলের আল-মেরাজ চৌকিতে বুরকান (ভলক্যানো) নামক একটি উচ্চশক্তি সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হামলা চালায়।

এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, হামলাগুলো ছিল দক্ষিণ লেবাননের শহর ও গ্রামগুলোতে বিশেষ করে টায়ার জেলার চিহিন শহরে ইসরাইলি হামলার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ।

গোষ্ঠীটি বলেছে, তারা দক্ষিণ লেবানন অঞ্চলে, বিশেষ করে মারজেয়ুন জেলার তাল্লুসা গ্রামে ইসরাইলি হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইসরাইল-অধিকৃত ভূমির উত্তরাঞ্চলের কিরিয়াত শমোনা শহরে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট হামলা চালিয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবারও তারা আর্টিলারি রাউন্ডের ব্যারেজ দিয়ে ইসরাইলি সুমাকা মিলিটারি সাইটে গোলাবর্ষণ করে। যেগুলো নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত হানে এবং সেখানে অবস্থানরত সৈন্যদের মধ্যে বহু সংখ্যক হতাহত হয়।

এদিকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী স্বীকার করে বলেছে যে, দক্ষিণ লেবানন থেকে মাউন্ট ডোভ অঞ্চলে বেশকিছু ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। যার ফলে তাদের এক সেনা গুরুতরভাবে আহত হয়েছে।

আহত সেনাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে দখলদার বাহিনীটি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের আশ্চর্যজনক অভিযানের পর গাজা উপত্যকায় গণহত্যামূলক অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। সেই থেকে হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে মারাত্মক হামলা পালটা হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে।

বর্বর ইসরাইলি বাহিনী যতক্ষণ না অবরুদ্ধ গাজায় তাদের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি তাদের প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়ে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ইসরাইলি বর্বরতায় গাজায় এ পর্যন্ত অন্তত ৩৯ হাজার ১৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

হিজবুল্লাহ কর্মকর্তারা বারবার বলেছেন যে, তারা ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধ চান না। তবে সেটি ঘটলে তারাও প্রস্তুত বলে জোর দিয়েছে গোষ্ঠীটি।

উল্লেখ্য, লেবাননের বিরুদ্ধে ২০০০ এবং ২০০৬ সালে ইসরাইলি সরকার দুটি যুদ্ধে হিজবুল্লাহর শক্তিশালী প্রতিরোধের মুখোমুখি হয় এবং উভয় সংঘাতেই ইসরাইলি বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়।

 

সূত্র: প্রেস টিভি/এনজি

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *