বিশেষ সংবাদদাতা
১০ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড (বিডা) আয়োজিত চার দিনব্যাপী বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫ আজ (বৃহস্পতিবার) শেষ হচ্ছে। গত ৭ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ সম্মেলন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৪০টিরও বেশি দেশের পাঁচ শতাধিক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী অংশগ্রহণ করেছেন।
বিগত বছরগুলোতে বিনিয়োগ সম্মেলন হলেও তেমন সাড়া পড়ত না। তাই অনেকের মনে প্রশ্ন, বিগত বছরগুলোর সাথে এ বছরের বিনিয়োগ সম্মেলনের পার্থক্য কী?
সম্মেলনের শেষ দিনে আজ (বৃহস্পতিবার) অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এ পার্থক্য তুলে ধরেছেন।
তারা জানান, বিগত বছরের সম্মেলনগুলো মূলত সেমিনার ও কর্মশালা কেন্দ্রিক আলোচনা ছিল। কিন্তু এবারের সম্মেলন সেমিনার বা কর্মশালায় সীমাবদ্ধ ছিল না।
বিনিয়োগকারী যারা সম্মেলনে আসেন তারা চান তাদের যে সম্ভাব্য অংশীদার বা বি টু বি (ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যে ব্যবসা হয়ে থাকে) এবং জি টু জি (যখন কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও সরকার বা কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যবসায়িক লেনদেন হয়) আলোচনা করতে চায়। এ সম্মেলনে কিছু সেমিনার ও আলোচনা সভা রাখা হয়েছে তবে বিনিয়োগকারীদের ‘বি টু বি’ ও ‘জি টু জি’ আলোচনার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
গত চার দিন বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে সেমিনার ও যে সেশনগুলো হচ্ছে তারপরও একটা বিটুবি বিকল্প রাখা হয়েছে। তাছাড়া সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত দশটি সরকারি সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য পৃথক রুম বরাদ্দ রাখা হয়েছে যাতে বিনিয়োগকারীরা সে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে পারেন। মূলত বিনিয়োগকারীরা যাদের সাথে বিনিয়োগ করবেন তাদের সাথে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, প্রথমবারের মতো বিনিয়োগকারীদের ফিল্ড ভিজিটে নেওয়া হয়। তারা বেশ কয়েকটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন পরিদর্শন করেছেন। সেখানে কী কী সুযোগ সুবিধা আছে সেগুলো হাতে-কলমে দেখেছেন। তারা বিনিয়োগ করলে সরকারের পক্ষ থেকে কী সুবিধা দেওয়া হতে পারে সেগুলো জানতে পেরেছেন।
এছাড়া তিনটি রাজনৈতিক দলকে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পলিসি ধারাবাহিকতা থাকবে কি না, থাকলে কী ধরনের থাকবে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের দায়িত্ব যারা নিতে পারবে তাদের কাছ থেকে বিনিয়োগকারীরা আলোচনা করে জেনে নিতে পেরেছেন।
টি আই / এনজি