বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ফিলিস্তিনে যে নারকীর হত্যাচার-হত্যা হচ্ছে, তা দেখে আমাদের মনে হতে পারে যে শুধু তাদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। আসলে বিষয়টি তা নয়, এক সময় তারা ধীরে-ধীরে বিশ্বের সব মুসলমানকে নিঃশেষ করার চেষ্টা করবে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে র্যালি পূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, মুসলিম বিশ্বের যেসব মোড়ল দেশ নিজেদের রাজত্ব বাঁচানোর জন্য নিজেরা নেতৃত্ব দিচ্ছে না তাদের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ নেমে পড়বে। তারা নেতৃত্ব দিলে এবং মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করলে… ফিলিস্তিনের এই অবস্থা হতো না।
মির্জা আব্বাস বলেন, একজন ছাত্র ভাই বলেছে, যদি বর্ডার থাকতো তাহলে আমরা ফিলিস্তিনে যুদ্ধ করার জন্য নেমে পড়তাম। আমি তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলতে চাই, যদি আজকে সুযোগ হতো, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, আল্লাহ রহমতে বিশ্বের যে কোনও দেশে গিয়ে যুদ্ধ করতাম।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এই প্রতিবাদ মিছিল অস্বাভাবিক রকম বড় হয়েছে। এই মিছিলে শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইয়েরা অংশ নিয়েছেন। আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমি নিজেও অনেক দূর থেকে আজকের এই র্যালিতে অংশ নিতে এসেছি। এই মিছিলে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্য একটা। কারণ, সশরীরে ফিলিস্তানি মুসলমানদের জন্য কিছু করতে পারছি না।
মির্জা আব্বাস দাবি করেন, ‘ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় যেমন জিয়াউর রহমান ভূমিকা রেখেছিলেন, তিনি বেঁচে থাকলে আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে কার্যকর উদ্যোগ নিতেন। ইসরায়েল এমন সহিংসতা চালানোর সাহস পেত না।’
দলটির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ফিলিস্তিনে যুগের পর যুগ ধরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চলছে। নারী-পুরুষ কেউ রেহাই পাচ্ছে না। এটা সরাসরি মানবতাবিরোধী অপরাধ।
দেশের সাধারণ মানুষ দলমত নির্বিশেষে ফিলিস্তিনের পক্ষে উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, বুদ্ধিজীবীদের থেকে তেমন কোনও অবস্থান দেখা যাচ্ছে না। জাতিসংঘও নিষ্ক্রিয় একটি ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, বিশ্বের কয়েকটি পরাশক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থনে বহু আগেই ফিলিস্তিনে গণহত্যা শুরু হয়েছে। আজ ফিলিস্তিনের মানুষ নিজেদের দেশেই পরবাসী। অথচ মুসলিম বিশ্বের মোড়লদের কার্যকর কোনও ভূমিকা নেই। তারা মুখ খুলছে না, অবস্থান নিচ্ছে না।
জা ই / এনজি