সকাল ৬:০৯ | শনিবার | ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

টানা ফ্লপেও দমে যাননি ঐশ্বরিয়া

এনজি ডেস্ক
০৯ এপ্রিল ২০২৫

 

বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার মঞ্চে সেরার মুকুট পরে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই। সেটার ছাপ রেখেছেন বলিউডেও। রূপের মাধুরী দিয়ে মাতিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রি, দর্শক। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন অনেকগুলো হিট সিনেমা। কিন্তু জানেন কী, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তার অভিনীত ১০টি সিনেমা ফ্লপ হয়েছিল।

ওই সময় অনেকটা হতাশও হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু ভেঙে পড়েননি। সবচেয়ে বড় কথা, টানা দশটি ফ্লপ থাকা সত্ত্বেও তার উপর নির্মাতা-প্রযোজকরা আস্থা রেখেছিলেন। সেই আস্থার মর্যাদাও পরে রেখেছেন ঐশ্বরিয়া। কাজ পেয়েছেন বলেই নিজের জাত চেনাতে সক্ষম হয়েছেন। তবে পাঠকমনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জেগেছে, কোন সেই দশ সিনেমা, যা ক্যারিয়ারের শুরুতে বিশ্বসুন্দরীর ঘুম কেড়ে নিয়েছিল।

তালিকার শুরুতে আছে ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অউর পেয়ার হো গেয়া’। এতে ঐশ্বরিয়ার নায়ক ছিলেন ববি দেওল। মুক্তির পর সিনেমাটি আশানুরূপ সাফল্য পায়নি। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে।

এরপর ২০০০ সালে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে ‘ঢাই অক্ষর প্রেম কি’ সিনেমায় জুটি বেঁধেছিলেন। কিন্তু দর্শকের মনে নাড়া দিতে পারেননি। রোমান্টিক ঘরানার এ সিনেমাটিও বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। ওই সময় গোবিন্দ ছিল হিট নায়ক। তার বিপরীতে

ঐশ্বরিয়াকে কাস্ট করে নির্মিত হয় ‘আলবেলা’। একেবারে ভিন্নরকম গল্প দিয়েও সিনেমাটি দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়। পরের সিনেমার নায়ক অর্জুন রামপাল অবশ্য তেমন হিট কেউ নন। তবু তার সঙ্গে ‘দিল কা রিস্তা’ নিয়েও আশাবাদ ছিল অনেক বেশি। কিন্তু বিধিবাম, এ সিনেমায় প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়, রাখি গুলজার, পরেশ রাওয়ালের মতো অভিনয়শিল্পীরা থাকা সত্ত্বেও সিনেমাটি বক্স অফিসে ফ্লপ। ২০০৩ সালে ফের জুটি বাঁধেন অভিষেকের সঙ্গে। কিন্তু এ নায়ক যে তার জন্য শুধুই বোঝা হবেন সেটা কেন জানতো! ওই বছর ‘কুছ না কাহো’ দিয়েও কোনো সুবিধা করতে পারেননি ঐশ্বরিয়া। অভিষেকের পাশাপাশি এ সিনেমায় ছিল আরবাজ খানের উপস্থিতি।

বলিউডে পলিটিক্সের শিকার বলে দাবি করা অভিনেতা বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করেছিলেন ঐশ্বরিয়া। অভিনয় করেছিলেন ‘কিউ হো গেয়া না’-তে। এ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়েই বিবেকের সঙ্গে প্রেম হয় ঐশ্বরিয়ার। কিন্তু প্রেম এবং সিনেমা, কোনোটাই শেষ পর্যন্ত সাফল্যের মুখ দেখেনি। এরপর জানা সত্ত্বেও নির্মাতারা আবারও তাকে জুড়ে দেন অভিষেকের সঙ্গে। আগে দু’বার ফ্লপের খাতায় নাম লেখানোর পরও ‘উমরাও জান’ সিনেমায় অভিষেক-ঐশ্বরিয়া জুটি বাঁধেন। কিন্তু ব্যর্থতার হ্যাটট্রিক যে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে, সেটা কী কেই বা জানতো!

তবে এ সিনেমায় এশ্বরিয়ার অভিনয় ছিল চোখে পড়ার মতো। বলিউডের বর্তমান টানা ফ্লপ নায়ক অক্ষয় কুমার। অথচ তিনি ছিলেন একসময়ের টানা হিট অভিনেতা। সেই অক্ষয়ের সঙ্গেও ভাগ্য পরীক্ষায় ক্যারিয়ারের শুরুতে নেমেছিলেন ঐশ্বরিয়া। অভিনয় করেছেন ‘অ্যাকশন রিপ্লে’ নামে একটি সিনেমায়। ২০১০ সালে কমেডির মোড়কে নির্মিত এই সিনেমাটিও বক্স অফিসে ফ্লপ হয়।

বলিউডের সবচেয়ে হ্যান্ডসাম নায়ক ঋত্বিক রোশানের সঙ্গে ২০১০ সালে ‘গুজারিস’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন অ্যাশ। সঞ্জয়লীলা বানশালি এ সিনেমার পরিচালক। স্বভাবতই আশাবাদের পাল্লাটা ছিল অনেক ভারি। কিন্তু সিনেমা পরিচালক, নায়িকা কিংবা নায়ক-কারও ভক্তদেরই ভালো লাগেনি। ফলাফল, বক্স অফিসে ফ্লপ। তালিকার দশ নাম্বার সিনেমা ‘ফানে খান’। এটি একটি মিউজিক্যাল সিনেমা। মুক্তি পায় ২০১৮ সালে। ডাচ সিনেমা ‘এভরিবডি ইজ ফেমাস’র রিমেক এটি। এ সিনেমা দিয়ে পড়তি ক্যারিয়ারের চাকা ঘোরাতে চেয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। কিন্তু পারেননি। বক্স অফিসে ব্যর্থ হয় এটিও। এরপর ঐশ্বরিয়া অবশ্য আরও কোনো সিনেমা দিয়ে আলোচনায় আসতে পারেননি। কারণ, পৃথিবীজুড়ে করোনার হামলা, কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং পরবর্তীতে শুরু হলে নতুনদের দাপটে ঐশ্বরিয়াকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে ঘর সংসারের কাজে। গত বছর একটি সিনেমা দিয়ে ফিরলেও সেটা মোটেও দর্শকদের মনে দাগ কাটেনি।

 

 

ফা আ/ এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *