বিকাল ৩:৫০ | শনিবার | ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের উত্তরপ্রদেশ : রাস্তায় ঈদের নামাজ পড়লেই বাতিল পাসপোর্ট-ড্রাইভিং লাইসেন্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৮ মার্চ ২০২৫

 

রাস্তায় ঈদের নামাজ পড়লেই মুসল্লিদের পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে (প্রতীকী ছবি)
পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং রমজানের শেষ শুক্রবারে জুমাতুল বিদার নামাজের আগে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মিরাট পুলিশ রাস্তায় নামাজ পড়া লোকদের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে।

পুলিশ বলেছে, নির্দেশনা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যার ফলে তাদের পাসপোর্ট বাতিল এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

মিরাটের পুলিশ সুপার (শহর) আয়ুশ বিক্রম সিং বলেছেন, স্থানীয় মসজিদ বা নির্ধারিত ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়া উচিত এবং কারও রাস্তায় নামাজ পড়া উচিত নয়।

ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং রাষ্ট্রীয় লোকদল (আরএলডি) নেতা জয়ন্ত সিং চৌধুরী বলেছেন, “যদি কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়, তাহলে তাদের পাসপোর্ট এবং লাইসেন্স বাতিল করা যেতে পারে এবং আদালত থেকে কোনও অনাপত্তি সনদ (এনওসি) ছাড়া নতুন পাসপোর্ট পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। আদালত কর্তৃক ব্যক্তিদের ছাড়পত্র না দেওয়া পর্যন্ত এই ধরনের নথিপত্র বাজেয়াপ্ত থাকে।”

মিরাটের সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) বিপিন তাদা বলেছেন, জেলা এবং থানা উভয় স্তরেই বৈঠক করা হয়েছে এবং সকল পক্ষের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর বা অস্থিরতা উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর কড়া নজর রাখছি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার যে কোনও প্রচেষ্টা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।”

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, রমজান মাসের শেষ জুমার নমাজ এবং ঈদের আগে এই নির্দেশিকা ঘিরে প্রবল হইচই পড়ে গেছে উত্তরপ্রদেশে। ঈদে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মিরাটের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে প্রভিন্সিয়াল আর্ম কনস্টাব্যুলারি (পিএসি) এবং ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (র‌্যাফ)।

এদিকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে স্থানীয় ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে পুলিশ। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি যাতে না হয়, তার জন্য কড়া মনিটরিং চলছে বলেও জানিছেন মিরাটের সিনিয়র এসপি। স্পর্শকাতর এলাকায় সাদা পোশাকের পুলিশও মোতায়েন থাকবে।

অবশ্য কেবলমাত্র মিরাট নয়, গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়েই ঈদের আগে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে বিজেপিশাসিত এই রাজ্যটির প্রশাসন। রাজ্যটির রাজধানী লখনৌতে ১ হাজার পুলিশ সদস্য এবং ৯ কোম্পানি পিএসি মোতায়েন করা হয়েছে।

 

শ ই / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *