প্রতিষ্ঠানের এমডি ও তার গংদের
অনিয়ম-স্বেচ্চাচারিতায় ডুবতে
বসছে কমিউনিটি ব্যাংক
স্টাফ রিপোর্টার : প্রতিষ্ঠানের এমডি মাশিউল হক চৌধুরী ও তার গংদের অনিয়ম, দূরনীতি ও স্বেচ্চাচারিতায় ডুবতে বসছে কমিউনিটি ব্যাংক। পুলিশের ঘামের টাকায় প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকটি একেবারেই শেষ করে দিতে মরিয়া এই মহলটি। ফের তৃতীয়বার চুক্তি নবায়নে মরিয়া বহুল সমালোচিত বর্তমান এমডিসহ তার অনুসারীরা।
জানা গেছে, এমডি মাশিউল হকের দীর্ঘ ৭ বছরে নিয়োগ বানিজ্য, স্বেচ্চাচারিতা স্বৈরাচারি ও বৈষম্যমূলক আচরণে অতিষ্ঠ ব্যাংকের নিরিহ অফিসার। তার একান্ত লোকদের বিধিবহির্ভূত পদোন্নতিসহ সুযোগ সুবিধা প্রদানের কারণে ব্যাংকে অস্তোষ দেখা দিয়েছে। নিয়োগ বানিজ্য ও পদোন্নতি বানিজ্যের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে আসছে।
অভিযোগ রয়েছে, মানবসম্পদ বিভাগের হেডকে কোনরকম ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা ছাড়া নিয়োগ দিয়ে ৬ মাসের মধ্যে পদোন্নতি দিয়ে গত ৯ মে আইজিপি ও সমস্ত পরিচালকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। এছাড়া নিয়োগ ও পদোন্নতি বানিজ্য পাকাপোক্ত করার জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার কতৃক নিয়োগকৃত কামাল আহম্মদকে সরিয়ে কোন রকম ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা নাই ও এমডির বিশ্বস্ত কানিজ ফাতেমাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, প্রকিউরমেন্ট ডিভিশনে গত ছয় মাসে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ৩ জনকে তাপসের মধুমতি ব্যাংক থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ বোডকে ম্যানেজ করে এত সেনসেটিভ ডিভিশনে একই প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ জনের নিয়োগ (হেডসহ) বিরল ঘটনা। জানা গেছে, এ ডিভিশনের প্রধানকে ফ্ল্যাট কিনার জন্য আবাসন লোন দেয়া হলেও তিনি ফ্ল্যাট কেনার কাগজ দেখাতে পারেনি।
অভিযোগ রয়েছে, বর্তমান এমডি কট্টর আওয়ামী পরিবারেরসদস্য। তিনি বহুল সমালোচিত ৭১ টিভি’র মোজাম্মেল বাবুর আপন বায়রা। এছাড়া টাঙ্গাইলের পরপর ২ বারের নির্বাচিত মহিলা এমপি অপরাজিতা হকের বোন জামাই। শ্বশুর আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান। কর্মরতরা জানান, ব্যাংকে কোন রেমিট্যান্স নাই, নতুন বিনিয়োগ নাই। শুধু বিলিকৃত ঋনের সুদ বৃদ্ধি করে মুনাফা দেখানো হচ্ছে। যার সিংহভাগ পুলিশ সদস্যদের থেকে নেয়া হয়. এতে নিরিহ পুলিশ সদস্যরা ক্ষিপ্ত।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের সাবানা রিসোর্টে যাতায়াত ও রিসোর্টের লোনের সময় সম্পদ মূল্যায়নে ব্যাংকের সিএফও কে নিয়োজিত করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বিধি বহির্ভূত। এছাড়া বসুন্ধরা, মেঘনা, রংধনু গ্রুপকে বিশেষ রেটে ঋন বিতরন করার বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
ব্যাংকের কর্মরতরা আরও জানান, এমডির একনায়কতান্ত্রিক আচরনের বিরুদ্ধে গেলেই চাকুরীচ্যুতি, পদোন্নতি বন্ধ, অমানবিক আচরন, দূর্ব্যবহার করার ঘটনা ওপেন সিক্রেট। শুধুমাত্র পুলিশের বিশ্বাসের অপব্যবহার করে বারবার এসমস্ত অপকর্মে লিপ্ত থেকেও চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। কর্মরতরা এমডিকে অব্যাহতি দিয়ে ব্যাংকের উন্নয়নে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। ##