স্পোর্টস ডেস্ক

খুব অলৌকিক কিছু হতে হতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে পেরিয়ে আফগানিস্তানকে সেমিতে দেখার জন্যে। ইংল্যান্ডকে জিততে হতো বড় ব্যবধানে। কিন্তু সেই অলৌকিক কিছু হওয়ার সম্ভাবনাও মিলিয়ে এসেছে এশিয়ান দেশটির জন্য। ইংল্যান্ড বড় ব্যবধানে জেতার মতো রানই জমা করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
করাচিতে মার্কো ইয়ানসেনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে রীতিমত দিশেহারা ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। ইয়ানসেন নিজে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সঙ্গে নিয়েছেন দুই দারুণ ক্যাচ। উইয়ান মুল্ডারের ঝুলিতেও গিয়েছে ৩ উইকেট। ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ১৭৯ রান। সর্বোচ্চ ৩৭ রান জো রুটের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এসেছে বোলার জোফরা আর্চারের ব্যাট থেকে।
দক্ষিণ আফ্রিকা এই ম্যাচে যে ব্যবধানেই হারুক না কেন, তার জন্য আফগানিস্তানের পেছনে পড়ার সুযোগ থাকছে না। বোলিং ইনিংস শেষেই বলা চলে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনালে চলে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ইংল্যান্ড ৩০০ রান করলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারতে হতো ২০৭ রানের ব্যবধানে। আফগানিস্তানের জন্য সমীকরণ ছিল এতটাই কঠিন। এমন এক সমীকরণ সামনে রেখে খেলা শুরু করেছিল দুই দল। কিন্তু ইংলিশ ব্যাটারদের ম্যাচ জমানোর কোনো সুযোগই দিল না প্রোটিয়া বোলিং লাইনআপ। প্রথম ওভারেই খাটো লেন্থের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফিল সল্ট। তৃতীয় ওভারে প্রায় একই রকমের বলে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জেমি স্মিথ। সপ্তম ওভারে কট এন্ড বোল্ড হন বেন ডাকেট। শুরুর ৩ উইকেটই মার্কো ইয়ানসেনের ঝুলিতে।
জো রুট এবং হ্যারি ব্রুক শুরু করেছিলেন ধীরগতিতে। খানিকটা থিতু হয়েই আগ্রাসী হওয়ার পরিকল্পনা ছিল দুজনের। কিন্তু ৬২ রানের জুটি শেষে দুজনেই যখন খানিক আগ্রাসী হওয়ার চিন্তায়, তখনই কেশব মহারাজের আঘাত। ব্রুক উড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। বাউন্ডারি লাইনে দারুণ ক্যাচ নিয়েছিলেন ইয়ানসেন।
পরের ওভারেই মুল্ডারের বলে বোল্ড জো রুট। লিয়াম লিভিংস্টোন, জেমি ওভারটনরা পারেননি দলের বিপর্যয়ে হাল ধরতে। সেই কাজটা করেছেন আর্চার। ৪ চারের মাধ্যমে করেছেন ২৫ রান। ততক্ষণে অবশ্য প্রোটিয়া বোলারদের কল্যাণে রীতিমত বিধ্বস্ত ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপ। জস বাটলার ৪৩ বলে ২১ রান পর্যন্ত গিয়েছেন। কিন্তু সেখান থেকে দলকে আর বিপর্যয়ের মুখ থেকে ফেরাতে পারেননি।
ইংল্যান্ডের ইনিংসটা শেষ পর্যন্ত গিয়েছে ১৭৯ পর্যন্ত। আর দুর্দান্ত বোলিং করেই নিজেদের সেমিফাইনাল পুরোপুরি নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার তাদের লক্ষ্য গ্রুপের সেরা হয়ে সেমিতে পা রাখা।