সকাল ১১:৩৬ | মঙ্গলবার | ৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বসন্তকাল | ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সেই ভাজা-পোড়ায়ই ভরসা মহল্লাবাসীর

 

০২ মার্চ ২০২৫

পবিত্র রমজানের প্রথম দিনেই জমে উঠেছে পাড়া-মহল্লার ইফতার বাজার। অভিজাত এলাকার মতো মহল্লায়ও বিক্রেতাদের হাঁকডাক রয়েছে। তবে মহল্লায় ইফতারের পদে নেই ভিন্নতা। গতানুগতিক সেই ভাজা-পোড়ায়ই ভরসা রাজধানীর মহল্লাবাসীর। তুলনামূলক দামে সস্তা আর হাতের নাগালে (মহল্লার কাছাকাছি) থাকায় পছন্দের শীর্ষে রয়েছে সেই নানা পদের ভাজাপোড়া।

এসবের মধ্যে রয়েছে- সাধারণ আলুর চপ, বেগুনি, পেঁয়াজু, সবজির চপ, চিকেন চপ, ডিমের চপ, বুন্দিয়া, ছোলাবুট, জিলাপি, মাঠাসহ নানা ধরনের ইফতার আইটেম। তবে ইফতারের মান নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্রেতারা বলছেন, প্রতিটি পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখা হলেও পণ্যের আকার ছোট করা হয়েছে।

সেই ভাজা-পোড়ায়ই ভরসা মহল্লাবাসীর

বিক্রেতারা বলছেন, ভাজাপোড়া প্রধান উপকরণ তেলের দাম বাড়তি। আবার পণ্যের দাম বেশি রাখলেও অভিযোগ আসে। এ কারণে আগের দামেই বিক্রি করছি।

রোববার (২ মার্চ) রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ, গুলবাগ, শান্তিবাগ, শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, বাসাবো এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

সেই ভাজা-পোড়ায়ই ভরসা মহল্লাবাসীর

এসব এলাকার পাড়া-মহল্লায় প্রতি পিস পাকোড়া বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়, সমুচা-সিঙাড়া ১০ টাকা, চিকেন সমুচা ২০ টাকা, রোল ৩০ টাকা, রুমালি পরোটা ৬০ টাকা, চিকেন ছাবলি ৩০ টাকা, জালি কাবাব ২০ টাকা, সাসলিক কাবাব ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আর প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলা (বুট) বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়, বুন্দিয়া ২০ টাকা, বেগুনি ৫ থেকে ১০ টাকা, পেঁয়াজু ৫ থেকে ১০ টাকা, প্রতি পিস জিলাপি ১০ টাকা, প্রতি ১০০ গ্রাম জিলাপি ২৫ টাকা, ১০০ গ্রাম রেশমি জিলাপি ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

তানিশা নামে মগবাজার ওয়ারলেস এলাকার এক বাসিন্দা  বলেন, আমাদের মহল্লাগুলোয় রমজানের পুরো মাসজুড়ে এরকম মুখরোচক (ভাজাপোড়া) খাবার খাওয়া হলেও বছরের অন্য সময় এভাবে নিয়মিতভাবে খাওয়া হয় না। এ কারণে এসময় চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়। আর এ সুযোগে বিক্রেতা হয় দাম বেশি রাখেন নাহলে পণ্যের আকার কাটছাঁট করেন। এবার চপ-পুরির আকার আগের তুলনায় অনেক ছোট।

সেই ভাজা-পোড়ায়ই ভরসা মহল্লাবাসীর

একই কথা বলেন খিলগাঁও রেলওয়ে কলোনির বাসিন্দা বোরহান। তিনি বলেন, এবার ইফতারের আইটেমের দাম বেড়েছে এটা বলা যাবে না। তবে পণ্যগুলোকে ছোট করা হয়েছে। কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। যেমন জিলাপি এবার ২৫০ টাকা কেজি, যেটা ২০০ টাকা ছিল। আবার রেশমি জিলাপির কেজিতে ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে।

ক্রেতার কথার সঙ্গে একমত না হলেও সবকিছুর জন্য ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করলেন বিক্রেতা হাসিব। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এখন তেলের দাম বাড়তি, পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের পেঁয়াজু-চপ বানাতে মূল উপকরণই হলো তেল। এরপরে দোকান ভাড়া, কর্মচারী ভাড়া দিয়ে নিজের লাভ রাখতে হয়। সব মিলে দাম এবার বাড়ানো হয়নি। আমরা আগের দামেই বিক্রি করছি সব পণ্য।

 

 

জা ই/ এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *