রাত ১১:২৭ | শনিবার | ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সাইফ আলীর ওপর হামলার ঘটনায় কিছু প্রশ্ন ও সন্দেহ…

প্রতিনিধি মুম্বাই
২৫ জানুয়ারি ২০২৫

 

সাইফ আলী খানের ওপর হামলার মামলাকে ঘিরে এক প্রশ্ন উঠেছে বলিউডপাড়ায়। বড় প্রশ্ন, সাইফ-কারিনার সদগুরু শরণ আবাসন থেকে সামান্য দূরত্বে লীলাবতী হাসপাতাল। কিন্তু যেতে কেন এত সময় লাগল অভিনেতার।

সাইফ আলী খানকে ১৬ জানুয়ারি ভোররাত ৪টা ১১ মিনিটে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, সাইফ আলীর ওপর দিবাগত রাত প্রায় আড়াইটায় হামলা হয়েছিল। আর তাঁকে ভোররাত ৪টা ১১ মিনিটে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এদিকে সাইফের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে লীলাবতী হাসপাতালের দূরত্ব মাত্র ১০–১৫ মিনিট। এখন প্রশ্ন যে হামলার ১ ঘণ্টা ৪১ মিনিট পর কেন সাইফকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হলো।

আরেকটি প্রশ্ন, চিকিৎসকের রিপোর্ট অনুযায়ী সাইফের শিরদাঁড়ার কাছে চাকুর একটা টুকরা আটকে ছিল। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসক সাইফের শরীর থেকে ছুরির অংশটি বের করেছেন। এখন প্রশ্ন, অভিনেতা কী করে এতক্ষণ রক্তাক্ত অবস্থায় ছিলেন।

বান্দ্রা পুলিশের কাছে যে মেডিকেল রিপোর্ট জমা করা হয়েছে, সেই অনুযায়ী সাইফের বন্ধু ও ব্যবস্থাপক জেইদি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এতে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে জেইদি সাইফকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন। রিপোর্টে জেইদির নাম, তাঁর ফোন নম্বর ও ঠিকানা সব বিস্তারিত লেখা আছে। আর তিনিই সাইফকে হাসপাতালে ভর্তিসংক্রান্ত সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন।

গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে সাইফ আলী খানকে একের পর এক ছুরিকাঘাত, নিরাপদে কারিনা
এদিকে সাইফের ব্যবস্থাপকের বক্তব্য যে অভিনেতা গৃহকর্মীর সঙ্গে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সাইফ আলী খানকে অটোরিকশাচালক ভজন সিং রানা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি যে সাইফের শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। আর অভিনেতার সঙ্গে ছোট একটি বাচ্চা ও আরেক ব্যক্তি ছিলেন। সাইফ অটোতে উঠে চালককে প্রথম প্রশ্ন করেছিলেন যে কত সময় লাগবে। এদিকে লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন যে সাইফ যখন রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে পাঁচ থেকে ছয় বছরের এক শিশু ছিল।

 

 

জা ই/ এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *