নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ জুলাই ২০২৪
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের জিকির তুলে এদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতাকে হরণ করেছে। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকারকে কেড়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, আজ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ইসলাম ও নৈতিকতাকে সরিয়ে দিয়ে এদেশের ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করা হচ্ছে। শিক্ষিত তরুণ যুবকরা শহরে ঘুরে ঘুরে চাকরি না পেয়ে বেকারত্বের যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে। অথচ কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের মাধ্যমে মেধাবীদের বঞ্চিত করে দলীয় কর্মীদের নিয়োগ চূড়ান্ত করার চক্রান্ত করছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তিনি বলেন, বেকারত্ব দূর করতে না পারা ও মেধাবীদের মূল্যায়ন করতে না পারার ব্যর্থতা সরকারের। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দেশের ক্ষমতার মসনদে বসে থেকে উন্নয়নের জিকির তোলা আওয়ামী লীগ সরকারকে এর জবাব দিতে হবে। বর্তমান সরকার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী চুক্তি ও সমঝোতার মাধ্যমে দেশকে রাহুগ্রাসে পরিণত করতে চাচ্ছে এবং দলীয় লোকদের দ্বারা লাগামহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে দেশকে অচল করে দিচ্ছে। মূলত এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই এদেশের জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
এরআগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী বাছাইকৃত কর্মীদের নিয়ে শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার কোটার মাধ্যমে দলীয় কর্মী নিয়োগ করতে চায় : মিয়া গোলাম পরওয়ার
কোটা আন্দোলন সফল হলে গণতন্ত্রের জন্য লড়তে হবে : হাফিজ
মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের পরিচালনায় এবং সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের ব্যবস্থাপনায় শিক্ষাশিবিরে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুর রব ও অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন ও ড. আব্দুল মান্নান। এসময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, সহকারী সেক্রেটারি কামাল হোসাইনসহ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
মিয়া গোলাম পরওয়ার জামায়াতের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ইসলামী আন্দোলন সম্পর্কে আমাদের সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ব্যবহারিক জীবন অন্যের কাছে অনুকরণীয় হতে হবে। সমাজের মানুষের কাছে জামায়াতে ইসলামীর একজন কর্মী হিসেবে আচার-ব্যবহার মাধুর্য্যপূর্ণ হতে হবে। অনাচার পাপাচারে ভরা জাহেলি জনগোষ্ঠীর সামনে প্রিয় রাসুল (সা.) চারিত্রিক মাধুর্য্যতা দিয়ে তাদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকেও তেমন চারিত্রিক গুণাবলীর অধিকারী হতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ। এখানে আমরা আল্লাহ তায়ালার দ্বীন কায়েমের স্বপ্ন দেখি। এখানকার মাঠ পরিচ্ছন্ন করেই আমাদেরকে ইসলামী আদর্শকে বিজয়ী করতে হবে। এখানে যত মতবাদ রয়েছে তার বিরুদ্ধে আমরা গুটি কয়েক মানুষ আল্লাহর গোলাম হিসেবে লড়াই সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছি। পুরো শিকড়সহ আমরা এই জাহেলিয়াতের মূলোৎপাটন করতে চাই।
টি আই/এনজি