সকাল ৭:৩৭ | রবিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি বিদেশি কূটনীতিকদের

নিজস্ব প্রতিবেদন 
 ২৪ জুলাই ২০২৪whatsapp sharing button
twitter sharing button
linkedin sharing button
সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি বিদেশি কূটনীতিকদের

কোটা সংস্কার আন্দোলকে কেন্দ্র করে ঢাকার কিছু স্থাপনায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে তার মধ্য থেকে মেট্রোরেলসহ কয়েকটি স্থাপনা বিদেশি কূটনীতিকদের সরেজমিনে দেখিয়েছে সরকার। এসব ধ্বংসযজ্ঞ দেখে কূটনীতিকরা সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, আমরা তোমাদের (সরকার) পাশে আছি।

হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে বিদেশি কূটনীতিকদের অনেকে বলেছেন, দিস ইজ সেইম। অনেকে আমার কাছে অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি, তবে এটা তোমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারা সচক্ষে দেখার পর সম্বিত হয়ে গেছেন, আমি নিজেও সম্বিত হয়ে গেছি। প্রতিটি জায়গায় এ রকম ধ্বংসযজ্ঞ, এটা কল্পনার বাইরে ছিল।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মোট ৪৯টি মিশনের প্রতিনিধি ছিলেন। ২৩ জন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। আজকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আমাদের সঙ্গে ছিলেন। কূটনীতিকদের মেট্রোরেলের ধ্বংসযজ্ঞ, সড়ক ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিটিভি দেখিয়েছি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল আরও কিছু দেখানোর। তাদের আমরা সব জায়গায় নিতে পারিনি। হাফ দিনের (অর্ধদিবস) নোটিশে এই কঠিন সময়ে এত রাষ্ট্রদূত যাওয়া সহজ কাজ ছিল না।

গত ১৮ জুলাই ঢাকার কূটনৈতিক মিশন থেকে পাঠানো ব্রিফ নোটের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, আমরা মন্ত্রণালয় থেকে সবার কাছে নোট পাঠিয়েছি। কোনো বিদেশি দূতাবাস বা কূটনীতিকরা যেন গণমাধ্যমে কোনো বিবৃতি না পাঠায়। তারা সেটি মেনেছেন। অতীতে এ ধরনের কিছু ঘটলে কূটনীতিকদের প্রভোক করা হতো। এবার গণমাধ্যম করেনি। হয়ত কিছু দেশ তাদের মতো বিবৃতি দিয়েছেন।

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে কত লোক মারা গেছে তার তথ্য কূটনীতিকরা জানতে চেয়েছে কি না- এ প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, সেটি সবাই জানতে চায়। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে জাতিসংঘের ভেহিকল ব্যবহার নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতিসংঘের কোনো ভেহিকল ব্যবহার করা হচ্ছে না। ওটা জাতিসংঘ শান্তি মিশনে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। লোগোটা মোছা হয়নি। এখন লোগোটা মুছে দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটেছে সেখানে ল অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট ও ইনটেলিজেন্সির কোনো ব্যর্থতা ছিল কি না এবং সরকার সেটি তদন্ত করবে কি না- এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, এখানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমাদের ল অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিগুলো কাজ করছে। কাজ করে তারা শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমাদের ল অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট যথেষ্ট চেষ্টা করছে।

 

 

জা ই /এনজি

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *