রাত ৪:৪৭ | বৃহস্পতিবার | ১৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সংবাদ সম্মেলনে মাগুরার পুলিশ সুপার : স্বীকারোক্তি দিয়েছেন হিটু শেখ, বাকি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে

জেলা প্রতিনিধি, মাগুরা
১৬ মার্চ ২০২৫

 

মাগুরায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখ শনিবার (১৫ মার্চ) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

রোববার (১৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাগুরা সদর থানা ওসির কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা।

পুলিশ সুপার বলেন, ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের মামলার অন্যতম আসামি হিটু শেখ জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলা-সংশ্লিষ্ট আলামত সংগ্রহ করে ফরেনসিকের জন্য সিআইডিকে পাঠানো হয়েছে।

মামলার তদন্তের স্বার্থে তিনি আর কিছু জানাতে চাননি।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো.মিরাজুল ইসলামসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, বাদীপক্ষের প্যানেল আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহেদ হাসান টগর ঢাকা পোস্টকে বলেন, শনিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (প্রথম) আদালতের বিচারক সব্যসাচী রায় হিটু শেখের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন। হিটু শেখ জবানবন্দিতে জানিয়েছেন- নির্জন ঘরে একা পেয়ে তিনি শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে হিটু শেখকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের ওই শিশুটি। এ সময় তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। ওই ঘটনার পর প্রথমে শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সর্বশেষ ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ দুপুরে শিশুটির মৃত্যু হয়। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে শিশুটিকে মাগুরা নেওয়া হয়। পরে শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা ও পরে শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডী গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হওয়া শিশুটির মা গত ৮ মার্চ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। আসামিরা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার প্রধান আসামি নির্যাতনের শিকার শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখ। অন্য তিন আসামি—হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা বেগম, বড় ছেলে সজীব শেখ ও ছোট ছেলে রাতুল শেখ (শিশুটির ভগ্নিপতি)।

 

 

জ উ / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *