ক্রীড়া প্রতিবেদক
২৫ এপ্রিল ২০২৫
আজ (শুক্রবার) জুমার নামাজের আগে মিরপুরে আগত ক্রিকেটারদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর নামাজ শেষে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদসহ আরও দুই পরিচালকের সঙ্গে বসেন ক্রিকেটাররা। উভয়পক্ষের মাঝে টানা তিন ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে। পরবর্তীতে বৈঠক শেষে মিরপুরেই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন ক্রিকেটররা। তাদের প্রতিনিধি হয়ে তিনটি বিষয়ে কথা বলেন তামিম।
শুরুতে তাওহীদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক জানান, ‘নিষেধাজ্ঞা দুই ম্যাচ থেকে এক ম্যাচ করা হলো, তখনও আমরা কোনো কথা বলিনি। নিষেধাজ্ঞা শেষে সে ২টি ম্যাচ খেলল। মানে ওর শাস্তি ততক্ষণে পেয়ে গেছে। ২ ম্যাচ খেলার পর কাল শুনলাম তাকে আবারও নিষিদ্ধ করেছে। এটা কোন নিয়মে, কীভাবে করেছে আমার জানা নেই। এটা নিয়ে আমরা হতাশ ছিলাম। এটা কোনোভাবেই সাসপেন্ড হতে পারে না। নিষেধাজ্ঞার পর বিসিবি তাকে ২ ম্যাচ খেলতে দিয়েছে, আবার ওকে কীভাবে নিষিদ্ধ করতে পারেন?’
নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর তা তুলে নিয়ে কেন আবারও একই শাস্তি দেওয়া হলো সেই প্রশ্ন তামিমের, ‘আমাদের কাছে কোনো সেন্সই মেইক করে না। প্রথমেই ২ ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা হলে সমস্যা ছিল না। এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার পর দুই ম্যাচ খেলে আবার নিষিদ্ধ করা, এটা আসলে হাস্যকর ব্যাপার হয়ে গেছে।’
এদিকে, কিছুদিন আগে ডিপিএলে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। সেখানে অভিযুক্ত দুই ক্রিকেটারদের দিয়ে সেই ঘটনা আবার প্রকাশ্য অভিনয় করে দেখানো হয়েছিল বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটের অধীনে। যা ভালোভাবে নেননি ক্রিকেটাররা। এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘কিছুদিন আগে গুলশান ও শাইনপুকুরের ম্যাচে অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা স্পষ্টভাবে বোর্ডকে বলেছি, ওখানে যদি কোনো ধরনের দুর্নীতি হয়ে থাকে বা কোনো খেলোয়াড় দোষী হয়, সবাই চাই এর শাস্তি হোক। যা নিয়ে সবাই শতভাগ একমত।’
‘তার মানে এই অধিকার নেই যে, দুটো ছেলেকে নিয়ে মিডিয়ার সামনে অভিনয় করাবেন। বিশ্বের কোনো অ্যান্টি করাপশন বা কোনো জায়গায় এই নিয়ম নেই। সেইম জিনিস অভিনয় করিয়ে ওই দুই ছেলেকে মিডিয়ার সামনে বেইজ্জত করবেন। ক্রিকেটারদের প্রতি এটা অপমান। এটা নিয়ে আমরা এক ফোটাও খুশি ছিলাম না’, আরও যোগ করেন দেশসেরা এই ওপেনার।
বিপিএলে ফিক্সিং করেছেন এমন অভিযোগ ওঠা ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ করার কারণ নিয়েও সবাই ক্ষুব্ধ বলে জানান তামিম, ‘বিপিএলেও একটা ঘটনা ঘটেছে। বিসিবির ভেতর থেকে ১০ জনের নাম ফাঁস হয়েছে। ১০ জনের ছবি দিয়েছে বিভিন্ন মিডিয়াতে। ওখান থেকে কেউ যদি দোষী হয় আমরা সব ক্রিকেটাররা চাই ওর শাস্তি হোক। কিন্তু এখান থেকে যদি ২ জন বা ৮ জন নির্দোষ হয়? এভাবে নাম প্রকাশ করা ক্রিকেটারদের প্রতি অসম্মান। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম।’
বিসিবিকে দ্রুত সমাধান ও সিদ্ধান্ত জানানোর তাগিদ জানিয়ে তামিম বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার হলো ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের সঙ্গে এভাবে (আচরণ) করলে হয় না। বোর্ড প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেছিলাম আসার জন্য, উনি এসেছেন। সঙ্গে আরও দু’জন বোর্ড পরিচালক ছিলেন। লম্বা আলোচনা হয়েছে। বলেছি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন, আমাদের জানান। যেহেতু কাল খেলা। আমার মনে হয় খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত দিয়ে দেবেন।’
জ উ / এনজি