সকাল ১১:২৩ | মঙ্গলবার | ৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বসন্তকাল | ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মা যখন কাঁদতেন, কিছুই করার থাকত না : হিনা খান

বিনোদন ডেস্ক
২৬ মার্চ ২০২৫

 

ক্রমশ মহামারিতে আকার নিচ্ছে ক্যান্সার। সারাবিশ্বে মহিলাদের মধ্যে নানা ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এ রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাদ পড়ছেন না তারকারাও। এবার এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন অভিনেত্রী হিনা খান।

এদিকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া থেকে শুরু করে একের পরে এক কেমো নেওয়া— সমস্ত ঘটনাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন।

অসুস্থতার সময়ে পাশে থেকেছেন অভিনেত্রীর মা। কিন্তু মাঝে মধ্যে ভেঙে পড়েছেন তিনিও। গোপনে চোখের জল ফেলেছেন। তবে ধরা পড়ে গিয়েছেন মেয়ের কাছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনিই জানালেন হিনা।

মেয়ের থেকে নিজের যন্ত্রণা গোপন করতে বাড়ির বারান্দাতে ছুটে যেতেন হিনার মা। অভিনেত্রী বলেছেন, ‘কষ্ট হলেই মা বাড়ির বারান্দায় ছুটে যেতেন বারান্দাতেই বেশ কিছু ক্ষণ বসে থাকতেন। আবার কখনও, সামলাতে না পেরে আমার সামনেও কেঁদে ফেলতেন।’

নামাজ পড়ার সময় সবচেয়ে বেশি কান্নাকাটি করতেন তিনি। হিনার কথায়, ‘নামাজ পড়ার সময়ে মা খুব কাঁদতেন। খুব কষ্ট হত এই সময়গুলোতে। কিন্তু আমি নিজেকে শান্ত রাখতাম। যদিও এমন সময়ও এসেছে, নিজেকে সামলে রাখতে পারিনি এই সব দেখে। ভেঙে পড়তাম। মা যখন কাঁদতেন, কিছুই করার থাকত না। তবে মা যে ভাবে এই সময়ে নিজেকে সামলেছেন, আমার গর্ব হয়।’

২০২১-এর এপ্রিল মাসে বাবাকে হারিয়েছেন হিনা খান। বাবা বেঁচে থাকলে তার অসুখের খবরে আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়তেন বলে মনে করেন অভিনেত্রী। তার কথায়, ‘আমার বাবা খুব নরম মনের মানুষ ছিলেন। অতিমারির সময়ে প্রতিবেশীর করোনা হয়েছে জেনে খুব উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন। তবে আমার মায়ের মন শক্ত।’

হিনা ও তার মা প্রায়ই আলোচনা করেন, বাবা বেঁচে থাকলে কী বলতেন। অভিনেত্রী বলেছেন, ‘আমাকে রানির মতো করে রাখতেন বাবা। তাই এই কষ্ট আমার বাবা সহ্য করতে পারতেন না। ভাল হয়েছে, আমাকে বাবার এই ভাবে দেখতে হয়নি।’

তবে এই অসুস্থতার মধ্যেও বাবার উপস্থিতি অনুভব করেছেন তিনি। হিনা বলেছেন, ‘বহু বার, আমি আমার চারপাশে বাবাকে দেখেছি। ঘরে যখন কেউ থাকে না, বাবার সঙ্গে আমি কথা বলি। বাবা যেখানে বসতেন, মনে হয় সেখানেই বাবা বসে আছেন।’

 

জা ই/ এনজি

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *