রাত ৩:০০ | রবিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মালয়েশিয়া মানবপাচার সিন্ডিকেটের হোতা গোলাম মওলা ও মনির হোসেন ধরাছোঁয়ার বাইরে

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ ডিসেম্বর ২০২৪

 

 

মানব ও অর্থপাচার মামলার আসামী জিএমজি ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড (আরএল-৪৯০) এর মালিক গোলাম মওলা এবং তার ছেলে, জিএমজি অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড (আরএল-১১৪৩)-এর মালিক মনির হোসেন এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। গত ৩ সেপ্টেম্বর রিক্রুটিং এজেন্ট আলতাফ খান মালয়েশিয়ান শ্রমবাজার কেন্দ্রিক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তার ১২ কোটিসহ চব্বিশ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পাশাপাশি মানব পাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের মামলাটি দায়ের করেন।যেখানে ১০৩ জনের সিন্ডিকেট মাফিয়া চক্রকে অভিযুক্ত করা হয়।

মামলায় গোলাম মওলা ১৬ এবং তার ছেলে মনির হোসেন ৫৬ নম্বর আসামি । এই পিতা পুত্র মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার অস্থিতিশীলকারী মাফিয়া সিণ্ডিকেট চক্রের অন্যতম সদস্য এবং চক্রের মুলহোতাদের ঘনিষ্ঠ যাদের মধ্যে সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদও রয়েছেন। যিনি ইতোমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন। এই মামলায় অন্য উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন , আমিনুল ইসলাম। যিনি একজন বাংলাদেশী-মালয়েশিয়ান নাগরিক, এবং রুহুল আমিন স্বপন, যিনি ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি বাংলাদেশী রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক) সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখেন। বাংলাদেশ পুলিশ ইন্টারপোলের মাধ্যমে গত ২৪ অক্টোবর মালয়েশিয়া পুলিশের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে যেখানে মালয়েশিয়া থেকে তাদের গ্রেফতার এবং প্রত্যর্পণের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ,
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ খরচ ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা ছিল । কিন্তু গোলাম মওলা ও মনির হোসেন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যেতে গড়ে একজন বাংলাদেশি কর্মী খরচ করেছেন ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিগত দুই বছরে প্রায় ১০,০০০ এর অধিক কর্মী মালয়েশিয়া কর্মীদের থেকে গৃহীত সরকার নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত আদায়কৃত কোটি কোটি টাকা অবৈধপথে বিদেশে পাচার করে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের অ্যাম্পাং পয়েন্টসহ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। এবং পাচারকৃত অর্থের মাধ্যমে ক্রয়কৃত ডোমিনিকান পাসপোর্ট (পাসপোর্ট নং RA003308) ব্যবহার করে এসব সম্পত্তি অর্জন করেছেন। তবে টাকা ও রাজনৈতিক সংযোগের মাধ্যমে তারা এখনও গ্রেফতার এড়াতে সক্ষম রয়েছেন।
জানা যায়, দুদক মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ।

তবে এর আওতায় না আসতে গোলাম মওলা এবং মনির হোসেন বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার দারস্থ হয়েছেন। ওই নেতার তদবিরের সুফলও পেয়েছেন এই পিতাপুত্র ।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গোলাম মওলা ও মনির হোসেন কাউকেই পাওয়া যায় নি।

 

জা ই/এনজি

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *