রাত ১:১৭ | মঙ্গলবার | ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ৩০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বিশেষ সহকারী ফয়েজ তৈয়্যব : টেলিকম শিল্পে নিরাপত্তাঝুঁকি এড়াতে উত্তম নীতির বিকল্প নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ এপ্রিল ২০২৫

দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশে টেলিকম শিল্পে নিরাপত্তাঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকরী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব।

তিনি বলেন, প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশই প্রায় একই ধরনের সমস্যার মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। টেলিকম শিল্পেও ব্যাপক পরিবর্তন আসছে এবং নিরাপত্তাঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের জন্য আমাদের মানসম্মত গ্রাহক সেবা ও ডিজিটাল সার্ভিস নিশ্চিতে কাজ করতে হবে। এক্ষত্রে পশ্চিমা বিশ্বের চেয়ে দক্ষিণ এশিয়ার রেগুলেটরি চ্যলেঞ্জ সবচেয়ে বেশি।

টেলিকম শিল্পে নিরাপত্তাঝুঁকি এড়াতে উত্তম নীতির বিকল্প নেই

ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, ডিজিটাল রূপান্তরে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে নানান চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব বিষয় চিহ্নিত করে আমাদের সুযোগগুলো খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য সবাই মিলে একটি উত্তম নীতি প্রণয়নের বিকল্প নেই।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সাউথ এশিয়ান টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরস কাউন্সিলের তিন দিনব্যাপী পলিসি, রেগুলেশন ও সেবা-সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এ আয়োজন করেছে। ২৮-৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে এ কর্মশালা চলবে।

কর্মশালায় আয়োজক বাংলাদেশসহ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ এবং ইরানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক রেগুলেটরি সংস্থার প্রতিনিধি, টেলিকম অপারেটর, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাসহ প্রায় দুইশো প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারীর (অব.) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এশিয়া-প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটির মহাসচিব মাসানরি কুন্ড এবং পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথোরিটির সদস্য ড. খাওয়ার সিদ্দিক।

টেলিকম শিল্পে নিরাপত্তাঝুঁকি এড়াতে উত্তম নীতির বিকল্প নেই

তিনদিনব্যাপী কর্মশালার প্রথম দিনের বিভিন্ন সেশনে ভবিষ্যত উদীয়মান প্রযুক্তির যুগে ফিক্সড এবং মোবাইল ব্রডব্যান্ডের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির জন্য ইউনিভার্সেল সার্ভিস রেগুলেশন তহবিলের যথাযথ ব্যবহার, সুপারিশ, কৌশল ও প্রভাব এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য আইসিটি ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।

দ্বিতীয় দিনে ডিজিটাল গ্রাহকদের সুরক্ষা: অনলাইন স্ক্যাম এবং আর্থিক জালিয়াতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা; ভবিষ্যতের ট্যারিফ নীতিমালা গঠন: দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে কানভার্জেন্স এবং উদীয়মান টেলিযোগাযোগ/আইসিটি পরিষেবার প্রভাব বিশ্লেষণ ; স্মার্ট সিটি এবং সোসাইটি: আইওটি, বিগ ডেটা এবং অনুরূপ প্রযুক্তি স্থাপনে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলিতে অভিজ্ঞতা এবং কেস স্টাডিজ বিষয়ে বিভিন্ন সেশনে বিশেষজ্ঞগণ মতামত প্রদান করবেন।

এছাড়া তৃতীয় দিনে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নেট নিরপেক্ষতা: চ্যালেঞ্জ, সুযোগ এবং নীতি নির্দেশনা; দক্ষিণ এশীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহের আওতায় থাকা দেশগুলিতে ডিজিটাল রূপান্তর বিষয়ে আলোচনা হবে।

 

শ ই / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *