নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ জানুয়ারি ২০২৫
বিরাজনীতিকরণের মনগড়া তত্ত্বে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ শুক্রবার বিকেলে শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, বিরাজনীতিকরণ বা মাইনাস টু এটা কেউ যদি মনে মনে এরকম মনগড়া কথা বলে, এটা তাদের সমস্যা। বাংলাদেশ আজকে যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আজকে সেখানে দাঁড়িয়ে আছে সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি, সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমান।
বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, বাংলাদেশ তাদের অপেক্ষায় আছে, তাদের অপেক্ষায় থাকবে। এখানে মাইনাস টু‘র কথা যারা বলে তারা উইস ফল থিংকিং.. আশা আর কি, ওই আশা জীবনে পুরণ হবে না। ওটা এরশাদ (এইচএম এরশাদ) পারে নাই, ওইটা ওয়ান-এ্যালেভেন পারে নাই, আর এখন তো বিএনপি অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী দল… একে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না।
আমির খসরু বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তারজন্য প্রথম কাজ হচ্ছে, নির্বাচন.. নির্বাচন হচ্ছে প্রথম সংস্কার। এটা দিয়ে শুরু করতে হবে সংস্কার ও গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আগামী দিনে যে পরিবর্তনের প্রত্যাশা পুরণ হবে।
গত দেড় দশকে শেখ হাসিনার সরকারের প্রতিবন্ধকতার কারণে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের কয়েকজন নেতা-কর্মী যারা দেশে ফিরেছেন, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান, সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাঈদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীর, রানা চৌধুরী, শাহিন আব্দুল্লাহ, কাউসার আলম প্রমুখকে নিয়ে আমির খসরু শেরে বাংলা নগরের জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছর এই লোকগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট বিরোধী, মানবতাবিরোধী,স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন।তারা হোয়াট হাউজের সামনে, তারা ক্যাপিটাল হিলের সামনে, তারা ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সামনে বাংলাদেশের স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন, তার সম্মুখীন হয়েছেন, তার সামনে গিয়ে প্রতিবাদ করেছেন, তার সামনে দাঁড়িয়ে শ্লোগান দিয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে তাদের আত্বীয়স্বজনের বিরুদ্ধে ওরা মামলা দিয়েছে, নির্যাতন করেছে। এদের পরিবারের অনেক লোক জীবনও দিয়েছে, সন্তান-সন্ততী হারিয়েছে। এই লোকগুলোকে আমাদের তরফ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই আন্দোলন একদিনে হয় নাই, এই আন্দোলন গত ১৬ বছরের কত হাজার লক্ষ মানুষের ত্যাগ স্বীকার সেটা অনেকে ভুলে যাই। এই লোকগুলো ১৬ বছর দেশে ফিরে আসতে পারেনি। এদেরকে বাদ দিয়ে কোনো আান্দোলন হয় নাই।
সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আন্দোলন তো আমরা করেছি। সুতরাং আমরা সরকারের সঙ্গে বসবো। আমাদের আন্দোলনের যে প্রেক্ষাপট, ত্যাগ, অবদান। সেটা জাতি জানে।
এই সময়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জা ই / এনজি