দুপুর ১:৪৪ | রবিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বিএনপির সাথে অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিমশনারের বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ সেপ্টম্বর ২০২৪

 

 

বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করেছেন অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিমশনার নারদিয়া সিম্পসন।  আজ বুধবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বেলা সাড়ে ১২টায় হাইকমিশনারের পতাকাবাহী গাড়ি কার্যালয়ে প্রবেশ করে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে সাক্ষাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও দলের আন্তর্জাতিক সস্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ক্লিনটন পোবকে এবং প্রথম সচিব লারা অ্যাডামস। দেড় ঘন্টা বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব হাইকমিশনারকে মধ্যহ্নভোজে আপ্যায়ন করেন।

ঘন্টাব্যাপী বৈঠকের পর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের সাথে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, ব্যবসা-বানিজ্য ও বিনিয়োগ প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর পাশাপাশি শেখ হাসিনার সরকার চলে যাওয়ার পরে আমরা কি ভাবছি এবং অন্তর্বতীকালীন সরকার কি রকম করছে এবং তাদের একমাস কেমন গেলো, আগামী দিনে আমাদের কি প্রত্যাশা, বাংলাদেশের কি প্রত্যাশা ইত্যাদি বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই অঞ্চলের জিও পলিটিক্স এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দুইদেশের মধ্যকার সহযোগিতা এবং অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে, তা নিয়ে তারা কি করতে পারে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের জন্য কত সময় লাগতে পারে তারা(অস্ট্রেলিয়া) জানতে চেয়েছে। পাশপাশি নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য কি কি পরিবর্তন দরকার, সেগুলো কিভাবে এগুচ্ছে সে বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছে।

মূলত সার্ব্কি আলোচনার পরে তাদের ধারণা যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে আগামীতে বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে।

নির্বাচনের সময়ের বিষয়টি খোলাসা করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যৌক্তিক সময়ের তো কথা বলেই যাচ্ছি। সময়ের যুক্তিকতা এখানে যারা স্টেকহোল্ডার আছে তারা বিবেচনা করবে। একচ্যুয়েলি, আমরা একটা টাইম ফ্রেম বলছি না, একটা সময় দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাচ্ছি না। আমরা চাচ্ছি সরকার সফলভাবে তাদের কাজগুলো করে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেমন নির্বাচন কমিশন চলে গেছে, নতুন কমিশন গঠন করতে হবে, এর মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজটা শুরু হতে হবে। আমি নিশ্চিত সেই কাজগুলো তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) খুব দ্রুত করবে। কারণ একদিকে ফায়ার ফাইটিং করতে হবে এবং অন্যদিকে আমাদের দেশে যে প্রাতিষ্ঠিানিক সমস্যাগুলো হয়ে গেছে সেগুলো সমাধান করে নির্বাচনী কার্য্ক্রমের দিকে তাদেরকে যেতে হবে।

তিনি বলেন, সকলের একই প্রশ্ন এই কাজগুলো কত তাড়াতাড়ি হবে, কতদিন লাগতে পারে এবং কবে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমাদের পক্ষ থেকে সহায়তা করছিৃ সার্বিকভাবে সহায়তা করছি। কারণ এটা সমস্ত জাতির প্রত্যাশা যে, এই সরকার জাতির আশা-আকাংখা পুরণে সমর্থ হবে। আমরা এই সরকারকে সার্বিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি এবং দিয়ে যাব্। বাংলাদেশের মানুষ যে আগামীর বাংলাদেশ তৈরির নতুন স্বপ্ন দেখছে, এটা আমাদের সকলকে মিলে করতে হবে। এটা কেউ একা করতে পারবে না, জাতির একটা ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা থাকতে হবে। সেখানে আমাদের সকলকে এক থাকতে হবে, সেই কথাগুলো আমরা বলেছি।

 

 

জা ই/ এনজি

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *