স্পোর্টস ডেস্ক

ভারতের সাম্প্রতিক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সাফল্য নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। বিশেষ করে, একই মাঠে টুর্নামেন্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব ম্যাচ খেলায় উঠেছে ব্যাপক বিতর্ক। কিন্তু ভারতের কল্যাণেই আইসিসির টিভিস্বত্ত্ব আর দর্শক সমাগমের কথাও অজানা নয়। বৈশ্বিক ক্রিকেটে ভারতের অবস্থান কেমন, তার এক নতুন চিত্র সামনে এনেছে দ্য সানডে টাইমস।
আর ফাইনালে ভারত না থাকায় ব্যাপক ক্ষতির সামনে পড়ছে আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড এবং লর্ডস ক্রিকেট স্টেডিয়াম। সানডে টাইমসের প্রতিবেদন বলছে ফাইনালে ভারত না থাকায় ব্রিটিশ মুদ্রার হিসেবে ৪ মিলিয়ন পাউন্ডের ক্ষতি হচ্ছে আয়োজকদের। বাংলাদেশের মুদ্রামানে যা ৬২ কোটি ৮৯ লাখ ৪১ হাজার ২০০ টাকার সমান। এই হিসেবও করা হচ্ছে ৪ দিনের সাপেক্ষে। ৫ দিনে টেস্ট গড়ালে ক্ষতি ৬৩ কোটি টাকার বেশি।
মূলত ইংল্যান্ডে থাকা বিপুল পরিমাণ প্রবাসী ভারতীয় না থাকার চাপ বেশ ভালোভাবেই টের পাচ্ছে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। ভারত ফাইনালে থাকবে এমন সম্ভাবনায় প্রথম চড়া মূল্যে ছাড়া হয়েছিল টিকিট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকিটের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে বাধ্য হয়েছে তারা। এই ঘটনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের আর্থিক প্রভাবকে আরও একবার সামনে এনেছে।
ভারতের ফাইনালে থাকার সম্ভাবনা মাথায় রেখে লর্ডস কর্তৃপক্ষ টিকিটের দাম শুরুতে অনেক বেশি নির্ধারণ করে। কারণ ধারণা করা হয়েছিল যে ভারতীয় সমর্থকদের চাহিদা সরবরাহের চেয়ে বেশি হবে। কিন্তু ভারত ফাইনালে না থাকায় এমসিসি বাধ্য হয়ে টিকিটের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সানডে টাইমসের ভাষ্য, অতিরিক্ত দামের কারণে যেন গ্যালারি ফাঁকা না থাকে, সেটাই নিশ্চিত করতে হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
২০২৩ সালে ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজে লর্ডসের উচ্চ মূল্যের টিকিট বিক্রি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। সেবারে টেস্টের চতুর্থ দিনে মাত্র ৯ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন। এরপরই এমসিসি তাদের টিকিট মূল্যের পর্যালোচনা করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
ব্রিটিশ গণমাধ্যমের ভাষ্য, জুনে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের টিকিটের মূল্য অনেক বেশি কমে ধরা হচ্ছে। প্রতি টিকিট ৪০ থেকে ৯০ পাউন্ডেরর মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এটি প্রাথমিক নির্ধারিত দামের চেয়ে গড়ে ৫০ পাউন্ড কম। আর এই মূল্য হ্রাসের ফলে এমসিসি-এর প্রত্যাশিত আয়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।জেএ