সকাল ৭:৪০ | রবিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ফরিদপুরে ডিবির ওসির উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন, আন্দোলন ‘প্রত্যাহারের ঘোষণা’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ফরিদপুর
২৯ জুলাই ২০২৪

ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও ফরিদপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দানকারী কয়েকজন তরুণ সংবাদ সম্মেলন করে ফরিদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন।

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ফরিদপুরের’ ব্যানারে আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তবে শুরু থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসা শিক্ষার্থীরা বলছেন, ফরিদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক বর্তমানে কারাগারে। এ অবস্থায় অন্য কারও আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার সুযোগ নেই।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের যে কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন হচ্ছিল, সেই কক্ষে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক (ডিআইও–১) মোহাম্মদ আবু নাঈমসহ প্রশাসন ও গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি যখন সংবাদ সম্মেলন হচ্ছিল সে সময় প্রেসক্লাবের বাইরে জেলা ছাত্রলীগের কিছুসংখ্যক নেতা-কর্মীকে অবস্থান করতে দেখা যায়।

সংবাদ সম্মেলনের সময় উপস্থিত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবির ওসি আবদুল মতিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘না, এমনি গিয়েছিলাম। অনেক দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হয় না, এ জন্য গিয়েছিলাম। ওই সময় একটি সংবাদ সম্মেলন হচ্ছিল, ওই সংবাদ সম্মেলনে কী বলা হয়, তা–ও দেখে এলাম। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণ ছিল না।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী পরিচয়দানকারী আরমান শিকদার। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি সরকার কর্তৃক পূরণ হওয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফরিদপুরের উদ্যোগে যেসব আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হলো। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তাঁরা। পাশাপাশি সব ধরনের সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করায় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে সংবাদ সম্মেলন থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনস্থলে অন্যদের মধ্যে ফরিদপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয়দানকারী রিয়াদ মোল্লা ও রবিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদপুরে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ দুজন সমন্বয়কই গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে শুরু থেকেই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন আবরাব নাদীম। এই সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করিনি। ফরিদপুরে আমাদের দুই সমন্বয়কারী শাহ মো. আরাফাত ও জনি বিশ্বাস বর্তমানে কারাগারে। তা ছাড়া আমাদের ৯ দফা দাবি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই।’

 

টিআই / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *