নিজস্ব প্রতিবেদক
১২ জুলাই ২০২৪
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’ উত্তরণ হলেও ঢাকা বরাবরই বাণিজ্যিক আর অর্থনৈতিক সহযোগিতায় জোর দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সদ্য সমাপ্ত বেইজিং সফরেও বাংলাদেশের অন্যতম অগ্রাধিকার ছিল অবকাঠামো উন্নয়নসহ অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় সহায়তা বাড়ানো।
চীনের সঙ্গে ৫০০ কোটি ডলারের ঋণসহায়তা নিয়ে যে আলোচনা চলছিল, এবারের সফরে বাংলাদেশ এ বিষয়ে অগ্রগতির প্রত্যাশা করছিল। এ সফরে পায়রা বন্দরকে ঘিরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বিত নতুন পরিকল্পনা দক্ষিণাঞ্চলীয় সমন্বিত উন্নয়ন উদ্যোগে (সিডি) চীনকে যুক্ত করতে আগ্রহী ছিল বাংলাদেশ। এর পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে যোগাযোগ অবকাঠামোর বেশ কিছু প্রকল্পে অর্থায়নেরও প্রত্যাশা ছিল।
দেশের আর্থিক সংকট মোকাবিলায় চীনের প্রস্তাবিত ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা ইউয়ানে ঋণসহায়তার বিষয়টির সুরাহা এই সফরে হয়নি। তবে এতে যে সময় লাগবে, তার ইঙ্গিত আছে।
কারণ, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেছেন, বাংলাদেশকে অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ, রেয়াতি ঋণ ও বাণিজ্যিক ঋণসহায়তা দেবে চীন। এ নিয়ে আলোচনার জন্য চীনের একটি কারিগরি প্রতিনিধিদল খুব শিগগির বাংলাদেশে আসবে। বাংলাদেশকে ৫০০ কোটি ডলারের ঋণ বাণিজ্যিক সহায়তার আওতায় দিতে চেয়েছিল চীন। যদিও আর্থিক সংকট মেটাতে বাংলাদেশের আগ্রহ বাজেট-সহায়তা। অর্থাৎ কারিগরি পর্যায়ে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে সুরাহা করাটা সময়সাপেক্ষ হতে পারে। চীন ১০০ কোটি ইউয়ান (প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা) আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই সহায়তা দেওয়া হবে অনুদান হিসেবে।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা এবং সফর শেষে প্রচারিত যৌথ বিবৃতি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ এই সফরে অর্থনৈতিক সহযোগিতায় গুরুত্ব দিয়েছিল। আর চীনের অগ্রাধিকার ছিল রাজনৈতিক সম্পর্ক আর সহযোগিতা জোরদারের মধ্য দিয়ে সম্পর্কের উত্তরণ
যৌথ ঘোষণা বিশ্লেষণে দেখা যায়, চীন মূলত রাজনৈতিক পরিসরে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়ানোর দিকে আগ্রহী।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’ উত্তরণ হলেও ঢাকা বরাবরই বাণিজ্যিক আর অর্থনৈতিক সহযোগিতায় জোর দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সদ্য সমাপ্ত বেইজিং সফরেও বাংলাদেশের অন্যতম অগ্রাধিকার ছিল অবকাঠামো উন্নয়নসহ অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় সহায়তা বাড়ানো।
চীনের সঙ্গে ৫০০ কোটি ডলারের ঋণসহায়তা নিয়ে যে আলোচনা চলছিল, এবারের সফরে বাংলাদেশ এ বিষয়ে অগ্রগতির প্রত্যাশা করছিল। এ সফরে পায়রা বন্দরকে ঘিরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বিত নতুন পরিকল্পনা দক্ষিণাঞ্চলীয় সমন্বিত উন্নয়ন উদ্যোগে (সিডি) চীনকে যুক্ত করতে আগ্রহী ছিল বাংলাদেশ। এর পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে যোগাযোগ অবকাঠামোর বেশ কিছু প্রকল্পে অর্থায়নেরও প্রত্যাশা ছিল।
দেশের আর্থিক সংকট মোকাবিলায় চীনের প্রস্তাবিত ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা ইউয়ানে ঋণসহায়তার বিষয়টির সুরাহা এই সফরে হয়নি। তবে এতে যে সময় লাগবে, তার ইঙ্গিত আছে।
কারণ, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেছেন, বাংলাদেশকে অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ, রেয়াতি ঋণ ও বাণিজ্যিক ঋণসহায়তা দেবে চীন। এ নিয়ে আলোচনার জন্য চীনের একটি কারিগরি প্রতিনিধিদল খুব শিগগির বাংলাদেশে আসবে। বাংলাদেশকে ৫০০ কোটি ডলারের ঋণ বাণিজ্যিক সহায়তার আওতায় দিতে চেয়েছিল চীন। যদিও আর্থিক সংকট মেটাতে বাংলাদেশের আগ্রহ বাজেট-সহায়তা। অর্থাৎ কারিগরি পর্যায়ে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে সুরাহা করাটা সময়সাপেক্ষ হতে পারে। চীন ১০০ কোটি ইউয়ান (প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা) আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই সহায়তা দেওয়া হবে অনুদান হিসেবে।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা এবং সফর শেষে প্রচারিত যৌথ বিবৃতি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ এই সফরে অর্থনৈতিক সহযোগিতায় গুরুত্ব দিয়েছিল। আর চীনের অগ্রাধিকার ছিল রাজনৈতিক সম্পর্ক আর সহযোগিতা জোরদারের মধ্য দিয়ে সম্পর্কের উত্তরণ।
দেশের আর্থিক সংকট মোকাবিলায় চীনের প্রস্তাবিত ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা ইউয়ানে ঋণসহায়তার বিষয়টির সুরাহা এই সফরে হয়নি। তবে এতে যে সময় লাগবে, তার ইঙ্গিত আছে।
আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশের আর্থিক সংকট মেটাতে জরুরি প্রয়োজন হিসেবে ৫০০ কোটি ডলারের যে ঋণসহায়তা প্রত্যাশিত ছিল, তা পূরণ হয়নি। আবার সিডির মতো নতুন পরিকল্পনায় সমর্থন করে তা অঞ্চল ও পথের উদ্যোগে (বিআরআই) যুক্ততার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের জরুরি ভিত্তিতে যে প্রত্যাশা ছিল, তা অপূর্ণ থেকে গেছে। তবে ভবিষ্যতের দিকটি বিবেচনায় নিলে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় চীনের বড় পরিসরে যুক্ত থাকার প্রতিশ্রুতি আছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরের মধ্য দিয়ে ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারত্ব’ থেকে ‘সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বে’ উন্নীত হয়েছে। যৌথ ঘোষণায় এমনটাই বলা হয়েছে। সাধারণত কৌশলগত অংশীদারত্বের প্রসঙ্গ এলে স্বভাবতই প্রতিরক্ষা আর নিরাপত্তার উপাদানগুলোর কথা মাথায় আসে। তবে এবারের যৌথ ঘোষণা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বের মধ্য দিয়ে চীন মূলত রাজনৈতিক পরিসরে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়ানোর দিকে মনোযোগী ছিল। এর প্রতিফলনও যৌথ ঘোষণায় রয়েছে।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’ উত্তরণ হলেও ঢাকা বরাবরই বাণিজ্যিক আর অর্থনৈতিক সহযোগিতায় বিশ্বাস করে।
জা/ই: এনজি