রাত ৩:০৮ | রবিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তানি অভিনেত্রীর প্রশ্নে যে উত্তর দিলেন জাকির নায়েক

এনজি ডেস্ক
০৬ অক্টোবর ২০২৪

 

দীর্ঘ এক মাসের সফরে পাকিস্তানে অবস্থান করছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ডাক্তার জাকির নায়েক। এই সময়টায় তিনি দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্চেন। যার মধ্যে থাকছে ধর্মীয় অনুষ্ঠানও।

শনিবার রাতে করাচির গভর্নর হাউজ সিন্ধুতে ডাক্তার জাকির নায়েকের সম্মানে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়, যেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করে, যার মধ্যে পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ইয়াশমা গুলও ছিলেন।

সে অনুষ্ঠানে জাকির নায়েককে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেন অভিনেত্রী ইয়াশমা গুল। প্রশ্নোত্তর পর্বে এই অভিনেত্রী জাকির নায়েককে জানান, তিনি অতীতে নাস্তিক হয়েছিলেন এবং এরপর ড. জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনে এবং ভিডিও দেখে ধর্মে ফিরে আসেন।

ইয়াশমা গুল প্রশ্ন করে বলেন, আল্লাহ যখন মানুষের ভাগ্য (তাকদির) নির্ধারণ করেই রেখেছেন, তাহলে মানুষের নিজস্ব ক্ষমতায় কী আছে? যদি একজন ব্যক্তি তার জীবনে সঠিক বা ভুল করে থাকে তবে তার জন্য কে দায়ী, কারণ মানুষ মনে করে যে ভাগ্য আগেই লেখা হয়ে গেছে। যেমন চোর চুরি করে, এটা কি আগে থেকেই তার ভাগ্যে লেখা ছিল?

অভিনেত্রীর প্রশ্নের জবাবে ডা. জাকির নায়েক বলেন, এই প্রশ্ন অনেক মুসলমানের মনেই আসে। বেশিরভাগ মানুষ এই প্রশ্ন করার সাহস করে, আবার কিছু লোক ফতোয়ার ভয়ে এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে ভয় পায়। এটি একটি খুব সাধারণ এবং ভালো প্রশ্ন।

তিনি বলেন, আল্লাহ গায়েব (অদৃশ্যের খবর) জানেন। আল্লাহ জানেন একজন মানুষ তার জীবনে কি কি কাজ করতে পারে, সেই কাজগুলো ভালো বা খারাপ যেটিই হোক। আল্লাহ মানুষের ভাগ্যে যা লিখে রেখেছেন মানুষ তা করে না, বরং সেটিই লেখা হয়েছে যা মানুষ করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ অদৃশ্য বিষয় জানেন এবং আল্লাহ জানেন কোন মানুষ জীবনের কোন সময়ে কি সিদ্ধান্ত নেবে।

উদাহরণ দিয়ে ড. জাকির নায়েক বলেন, এক ব্যক্তি একটি চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। সেখান থেকে চারটি ভিন্ন ভিন্ন পথ রয়েছে, তাই আল্লাহ তায়ালা তার ভাগ্যে সেটিই লিখে রেখেছেন যেটি সেই সময় মানুষ তার নিজের চিন্তা-চেতনা দিয়ে যে পথ বেছে নেয়। অর্থাৎ সেই পথ আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক মনোনীত হয়নি, বরং মানুষ নিজেই নিজের জন্য এই পথ বেছে নিয়েছে।

এই ইসলামী পণ্ডিত আরও বলেন, ভাগ্য মানে আল্লাহ মানুষকে শতভাগ নয়, ৯০ বা ৯৫ ভাগ কর্তৃত্ব দান করেছেন। যেমন আমি যদি পৃথিবী ধ্বংস করতে চাই, আল্লাহ তা হতে দেবেন না।

 

 

জিয়ো নিউজ উর্দূ / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *