আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১২ এপ্রিল ২০২৫
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে বিতর্কিত ওয়াকফ আইন ঘিরে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সূত্র বলছে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে শমসেরগঞ্জ থেকে সুতির সাজুর মোড় পর্যন্ত জাতীয় সড়ক ১২ অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। তারা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে, পাথর ছুঁড়ে এবং পুলিশ ভ্যান ও বাসে অগ্নিসংযোগ করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি করেন। এতে অন্তত ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস ছোড়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানায়, সহিংসতা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, কিছু পুলিশ সদস্যকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য একটি স্থানীয় মসজিদে ঢুকে পড়তে হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিএসএফ-এর সহায়তা চাওয়া হয়।
এরপর শনিবার সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে শমসেরগঞ্জের ধুলিয়ান এলাকায়। সেখানে গুলিবিদ্ধ হন এক ব্যক্তি।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে বলেন, মনে রাখা দরকার, এই আইন রাজ্য সরকার বানায়নি, এটি কেন্দ্রীয় সরকার করেছে। তাই জবাব দিল্লির কাছে চান।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি, এই আইন রাজ্যে কার্যকর হবে না। তাহলে দাঙ্গা কীসের?
তবে রাজ্যজুড়ে এই সহিংসতার জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, এই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাংশের এমন তাণ্ডব পাঁচ মিনিটেই থেমে যাবে। তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূল সরকারের তোষণমূলক নীতির কারণেই প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
সূত্র: পিটিআই, হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি/ এনজি