দুপুর ১:২৭ | রবিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে চুপ ছিলাম: ফারিণ

নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে চুপ ছিলাম: ফারিণ   ছবি : কবির হোসেন

 

মাস পার হয়ে গেল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের। সমাজের নানা শ্রেণির মানুষ মিছিলে গিয়ে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন। কয়েক দিন আগে ছোট ও বড় পর্দার অনেক তারকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে রাজপথেও নেমেছেন। কিন্তু ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ তাসনিয়া ফারিণকে কোথাও দেখা যায়নি। শনিবার রাতে ছাত্রদের এই আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে লম্বা একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে এত দিনেও চুপ থাকাটাকে নিজের ব্যর্থতা বলেছেন।

‘বাবা, সামওয়ানস ফলোয়িং মি’–তে তাসনিয়া ফারিণ
‘বাবা, সামওয়ানস ফলোয়িং মি’–তে তাসনিয়া ফারিণছবি: পরিচালকের সৌজন্যে

 

কেন এত দিন চুপ ছিলেন, সেই যুক্তি তুলে ধরে স্ট্যাটাসের একাংশে ফারিণ লিখেছেন, ‘এতগুলো দিন পার হয়ে যাওয়ার পর আমার কিছু বলা বা না বলাতে কিছু আসে যায় না। তবু মনে হচ্ছে, আমার চুপ থাকাটাকে নিজের কাছে নিজের সহ্য হচ্ছে না। আমি আমার নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নীরব ছিলাম। সাহসের অভাবে নীরব ছিলাম। নিজের স্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে পারিনি। এ ব্যর্থতার দায় সম্পূর্ণ আমার।’

তাসনিয়া ফারিণ। ছবি: পরিচালকের সৌজন্যে
তাসনিয়া ফারিণ। ছবি: পরিচালকের সৌজন্যে

 

ফারিণ আরও লিখেছেন, ‘আজকে যখন হাজার হাজার মানুষ নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে শহীদ মিনারে জড়ো হলো ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদে, তখন নিজের বাসায় বসে নিজের নিরাপত্তার কথা ভাবাটাই হাস্যকর।’

আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের আসল তারকা উল্লেখ করে আরেক অংশে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘ কারও কোনো সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া আপনারা সাধারণ মানুষ, যাঁরা এত সুন্দর করে দেশ সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁরাই আসল সেলিব্রিটি। আমার মতো স্বার্থপর মানুষদের অনেক কিছু শেখার আছে আপনাদের থেকে। হয়তো একদিন আপনাদের মতো আমারও সাহস হবে।’
এরপর ক্ষমা চেয়ে স্ট্যাটাসের শেষাংশে লিখেছেন, ‘আপনাদের মনে কষ্ট দিয়েছি। আমি ক্ষমাপ্রার্থী। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে চাই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হোক। কেউ পারেল আপনারাও পারবেন।

 

 

 

টি আই/ এনজি

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *