নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ অক্টোবর ২০২৪
ঢাকা উত্তর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি, সাবেক তেজগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মো: লুৎফর রহমান (এল রহমান) গত ১৯ অক্টোবর দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকায় প্রকাশিত ‘ কাওরান বাজারে প্রতি রাতে অর্ধকোটি টাকার চাঁদাবাজি’ শীর্ষক সংবাদে তাকে জড়িয়ে যে রিপোর্ট ছাপিয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে অভিযোগের সূত্র ধরে বলা হয়েছে ‘কাওরান বাজার ঢাকা ব্যাংকের সামনের রাস্তাসহ আড়ৎ ফুটপাথের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করছেন এল রহমান। তিনি মহানগর উত্তর বিএনপির নাম ব্যবহার করে তার বাহিনী দিয়ে এই এলাকার চাঁদা উত্তোলন করে থাকেন। এ ছাড়া বড় দোকান থেকে মাসিক হারে চাঁদা আদায় ও মামলা থেকে নাম বাদ দেয়ার জন্য টাকা নেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে’।
এল রহমান বলেন, এই ধরণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি চ্যালেজ্ঞ দিয়ে বলেন, কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আমি যে কোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব। আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার পাশাপাশি দলের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে এ ধরণের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এল রহমান আরও বলেন, ঢাকা ব্যাংকের সামনের রাস্তাসহ আড়ৎ এলাকর প্রকৃত মালিক বিএনপির সাবেক চীফ হুইপ জাহিদ চৌধুরী। উক্ত জায়গায় ব্যবসা করতে তারা এলাকার শামীমকে দায়িত্ব দেন। অভিযোগ রয়েছে, তেজগাঁও থানা যুবদলের বহিস্কৃত সদস্য সচিব আবদুর রহমান গত ৫ আগস্ট তার দলীয় লোকজনকে দিয়ে সেটি দখলে নেয়। পরবর্তীতে জাহিদ চৌধুরীর ছেলে ফাহিম চৌধুরী আমাকে অবগত করলে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোবারক হোসেনের সহযোগিতায় উক্ত ঢাকা ব্যাংকের সামনের জায়গা দখলে নিয়ে উনার নিজ এলাকার শামীমকে ব্যবসা করার সুযোগ করে দেয়া হয়। বর্তমানে শামীম তার নিজ কর্মচারী আজগরকে দিয়ে ব্যব্সা পরিচালনা করতেছেন। আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, কাওরান বাজারে চাঁদাবাজিসহ কোনো ঘটনার সাথে আমি এল রহমানের দূরতম কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করার উদ্দেশে উক্ত সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। আমি উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি যেই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি। একইসাথে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোট সংবাদ প্রচার করায় প্রতিবেদককে দু:খ প্রকাশ করে প্রতিবাদটি প্রকাশিত সংবাদের স্থানের প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।
জা ই / এনজি