নিজস্ব সংবাদদাতা
১০ জানিুয়ারি ২০২৫
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে কোনো দূরত্ব আসেনি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জামায়াত-বিএনপি সবাই থাকবে।
আজ শুক্রবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশে পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক শক্তি আছে দুটি। এর একটি সেনাবাহিনী, আরেকটি হলো জামায়াতে ইসলামী। সংগঠনের আমির ডা. শফিকুর রহমানের দেওয়া এমন বক্তব্যে কষ্ট পেয়েছেন বিএনপি নেতারা।
জামায়াতের সঙ্গে কোনো দূরত্ব আসেনি জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, জামায়াতের সঙ্গে আমরা যুগপৎ আন্দোলনে ছিলাম না, আমরা জোটে ছিলাম। যুগপৎ আন্দোলনে আমাদের আর জামায়াতের সব কর্মসূচি একরকম ছিল না। কিন্তু তারা আন্দোলনে ছিল। আমরা আশা করব, আগামী দিনে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবাই আমরা থাকব, তারাও থাকবে।
বিএনপির পক্ষে বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও বেগম সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে জোটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, দূরত্বের কিছু নেই। তারাও (জামায়াত) গণতন্ত্র ও নির্বাচন চায়। তারা মানুষের অধিকারের কথা বলেন, আমরাও বলি। কিন্তু যদি কেউ কখনো বলেন যে, তারা শুধু দেশপ্রেমিক- তাহলে আমাদের কষ্ট লাগবেই। আমরা তো বলবো যে ভাই, কথাটা ঠিক না। আমরা সবাই দেশপ্রেমিক। আমরা আশা করব, এরকম কথা কেউ না বলুক।
নজরুল ইসলাম বলেন, বৈঠকে দেশের বিদ্যমান রাজনীতি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। জনগণের দুর্ভোগ নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়েও বিশেষভাবে আমরা আলোচনা করেছি। যে গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি এবং জোটসহ দেশের হাজার হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে এবং আহত হয়েছে। এখনো আমাদের অনেক নেতাকর্মী মামলা ও হামলার স্বীকার হয়ে আছেন।
জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি বৈঠক করবে কি না, জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, জামায়াতের সঙ্গে ফরমালি যুগপৎ আন্দোলনে আমরা ছিলাম না। তাদের কর্মসূচি আমাদের কর্মসূচি একরকম ছিল না। কিন্তু তারা আন্দোলনে ছিলেন। নিশ্চয়ই আগামী দিনে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবাই আমরা থাকবো, তারাও থাকবে। এটা নিয়ে কনফিউশনের কিছু নেই।
ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচন হলে দেশের অর্ধেক সমস্যার সমাধান হবে। বাকি সংস্কারগুলো নির্বাচিত সরকার করবে।
বেলা সোয়া ১১টায় শুরু হওয়া বৈঠক চলে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী। বৈঠকে অন্যন্যের মধ্যে জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি নাসিম খান, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস এবং জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এস এম শাহাদাত উপস্থিত ছিলেন।
জা ই / এনজি