নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ মার্চ ২০২৫
‘ধবংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত করতেই ৩১ দফা’ বলে মন্তব্য করেছেন তারেক রহমান।
সোমবার বিকালে এক ইফতার মাহফিলে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ৩১ দফা উপস্থাপনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘‘ আমরা রাজনৈতিক দলগুলো পলাতক যে স্বৈরাচার আমরা রাজপথে ছিলাম, এক সাথে আন্দোলন সংগ্রামে ছিলাম… মানুষের রাজনৈতিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আমরা সংগ্রামে ছিলাম.. কাজ করেছিলাম… সেই সকল দলগুলো একসাথে বসে আলোচনা করে আমরা প্রায় দুই আড়াই বছর আগে উপস্থাপন করেছিলাম ৩১ দফা জাতির সামনে।”
‘‘ কেনো ৩১ দফা উপস্থাপন করেছিলাম? কারণ একটিই। আমরা দেখিছিলাম পলাতক যে স্বৈরাচার তারা কিভাবে দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান… যেকেনো প্রতিষ্ঠানের কথা আমরা উল্লেখ করতে পারি… সেটি শিক্ষা ব্যবস্থা হতে পারে,সেটি মানুষের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা হতে পারে, সেটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতে পারে, সেটি বিচার ব্যবস্থা হতে পারে, সেটি সিভিল এডমিনিস্ট্রেশন হতে পারে, সেটি পুলিশ এডমিনিস্ট্রেশন হতে পারে, বিদ্যু সেক্টার হতে পারে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ধবংস করে দিয়েছিলো তারা।”
তারেক বলেন, ‘‘ সবচেয়ে প্রথমেই যেটি ধবংস করেছিলো সেটি হচ্ছে বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে… বিতর্কিত এবং ধবংস করে দিয়েছিলো।”
তিনি বলেন, যে দলটি রাজনৈতিক দলগুলোকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সংগ্রামে ছিলো… আমরা সকলে বিশ্বাস করি যেসব প্রতিষ্ঠান ধবংস করে দেয়া হয়েছিল সেসব প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদেরকে মেরামত করতে হবে।”
‘‘ যেহেতু আমাদের রাজনীতি হচ্ছে বাংলাদেশকে ঘিরে,বাংলাদেশের জনগনকে ঘিরে… আমাদের রাজনীতির বড় পূঁজি হচ্ছে এই দেশের জনগন। কাজেই এই রাষ্ট্রের কাঠামো যদি আমরা মেরামত না করি, দেশের মানুষের কাঙিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারব না, মানুষের প্রত্যাশা অনুয়ায়ী গড়ে তুলতে পারব না।”
পুরানা পল্টনের হোটেল ফার্সে জাতীয়তাবাদী সমমনা দলের উদ্যোগে এই ইফতার মাহফিল হয়।
তারেক বলেন, ‘‘ আজকে অনেক ব্যক্তি সংস্কার নিয়ে অনেক কথা বলছেন। কিন্তু বাংলাদেশে সংস্কার প্রয়োজন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোর যে সংস্কার প্রয়োজন, রাষ্ট্র মেরামতের যে সংস্কার প্রয়োজন এটা সবচেয়ে আগে আমরাই বলেছিলাম। আমরা কাছে সংস্কার বলুন, রাজনীতি বলুন কি বুঝি?”
২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনের সময়ে একটি টক শোতে তিনটি রাজনৈতিক দলের মধ্যেকার আলোচনার বিষয়বস্ত রোগীর কাছে অ্যাম্বুলেন্স কোন রাজনৈতিক দল দ্রুত নিয়ে যেতে পারবে তার সারসংক্ষেপ তুলে ধরে তারেক বলেন, ‘‘ একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগনের যদি সুযোগ থাকে কে দেশ পরিচালনা করবে তাহলে রাজনৈতিক দলগুলো জনগনের দাবি নিয়ে আলোচনা করতে হবে, জন-আকাংখাগুলো নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনা করতে হবে। জনগনের বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের অবশ্যই চিন্তাভাবনা করা উচিত। জনগনই আমাদের রাজনীতির বড় পূঁজি।”
জাতীয়তাবাদী সমমনা দলের সমন্বয়ক এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা ও এসএম সাহাদাত সঞ্চালনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপির নিতাই রায় চৌধুরী, মাহাদী আমিন, জামায়াতে ইসলামীর মো. কামাল হোসেন, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সাম্যবাদী ,দলেল সৈয়দ নুরুল ইসলাম, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জাগপার খন্দকার লুৎফুর রহমান, গণঅধিকারের ফারুক হাসান, গণদলের এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, এনডিপির আবু তাহের, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী, মুসলিম লীগের নাসিম খান, ডিএলের খোকন চন্দ্র দাশ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
জা ই / এনজি