
কবে বিয়ে করবেন রশিদ খান, এমন প্রশ্ন অনেক দিন ধরেই ক্রিকেটভক্তদের মুখে মুখে। কথায় নয়, এবার কাজের মাধ্যমে ভক্তদের সেই প্রশ্নের জবাব দিলেন ২৬ বছর ১৪ দিন বয়সী আফগান ক্রিকেটার। নিজের বিয়ে তো করলেনই; পাশাপাশি ঘটা করে এমন আয়োজন করলেন যে, ক্রিকেটভ্ক্তদের সবাইকে অবাকই করে দিলেন রশিদ খান। তিন সহোদরকে নিয়ে একসঙ্গে বিয়ে করলেন আফগান লেগস্পিনার।
গতকাল বৃস্পতিবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের ইম্পেরিয়াল কন্টিনেন্টাল হোটেলে বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন রশিদ। একই মজলিশে রশিদের তিন ভাইও শুভ কাজ সারেন।
রশিদের সঙ্গে একই অনুষ্ঠানে বিয়ে করা অন্য তিন ভাই হলেন- আমির খলিল, জাকিউল্লাহ ও রাজা খান। দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পশতুন রীতি বিয়ে করেছেন তারা। তবে চার ভাইয়ের কেউই পাত্রীর নাম প্রকাশ করেননি।
রশিদ-ত্রাতৃদের বিয়ের আয়োজনও হয় অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে। বিয়ের অনুষ্ঠানে সতীর্থ ও ক্রিকেট বোর্ডের অনেককে আমন্ত্রণ জানান রশিদ।
রশিদের বিয়ের সময় ইম্পেরিয়াল কন্টিনেন্টাল হোটেলের বাইরে ছিল কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, অস্ত্র নিয়ে হোটেলের বাইরে অবস্থান করছেন প্রহরীরা।
রশিদকে যারা প্রথমে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার নবি। বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে রশিদ ও তার ভাইদের সঙ্গে বেশ কিছু ছবি তোলেন নবি। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে কয়েকটি ছবি শেয়ার করেন।
এক পোস্টে নবি লেখেন, ‘তোমাদের বিয়েতে অনেক অনেক অভিনন্দন। তোমাদের জীবন ভালো ও সমৃদ্ধ হোক।’
২০২০ সালে একটি গুঞ্জন শোনা যায় এমন, রশিদ খান বিশ্বকাপ জয়ের আগে বিয়ে করবেন না। তবে ২০২২ সালে বাংলাদেশে খেলতে এসে সেই গুঞ্জন উড়িয়ে দেন আফগান অধিনায়ক।
শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রশিদ, ‘আমি এটা অনেকবারই শুনেছি, আমি নাকি বিশ্বকাপ জয়ের পর বিয়ে করবো। জানি না এই ধরনের কথা কোথায় বলেছি। আমার কাছে এটার কোনো ভয়েস ক্লিপ নেই। তবে এটা সত্যি যে এ নিয়ে সমর্থকদের অনেক বার্তা পাই। আমি একবার মিডিয়ায় বলেছিলাম, আগামী দুই বছর বিয়ের কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, একটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। তারপর বিয়ের ব্যাপারে ভাবব। মানুষ এটাকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছে।’
সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়ে আফগানিস্তানকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন রশিদ খান। বিশ্বকাপের আসরে এখন পর্যন্ত এটি আফগানদের সবচয়ে বড় অর্জন।
এমএইচ/এনজি