রাত ৩:২৩ | বৃহস্পতিবার | ১৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ট্রাম্পের ঘোষণা : ভারতকে ছাড় নয়, ২ এপ্রিল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ‘পাল্টা শুল্ক’ চালু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৫ মার্চ ২০২৫

 

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ভারতের আরোপিত শুল্ক ব্যবস্থাকে ‘অত্যন্ত অন্যায্য’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ২ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রও পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে। ট্রাম্প চান, অন্য দেশগুলো মার্কিন পণ্যের ওপর যে হারে শুল্ক আরোপ করে, যুক্তরাষ্ট্রও তাদের পণ্যের ওপর একই হারে শুল্ক বসাবে।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, অন্য দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বিরুদ্ধে শুল্ক ব্যবহার করেছে, এখন আমাদের পালা তাদের বিরুদ্ধে তা প্রয়োগ করার। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, ব্রাজিল, ভারত, মেক্সিকো ও কানাডা—আপনারা নিশ্চয়ই এদের নাম শুনেছেন?—এবং আরও অসংখ্য দেশ আমাদের তুলনায় অনেক বেশি শুল্ক ধার্য করে। এটি সম্পূর্ণ অন্যায্য।

ভারতের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ভারত আমাদের গাড়ির ওপর ১০০ শতাংশেরও বেশি শুল্ক বসায়।

ট্রাম্প তার প্রশাসনের নীতির পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত এসব ‘অন্যায্য’ বাণিজ্য নীতির মোকাবিলা করা। তিনি জানান, ভারত ও চীনের মতো দেশগুলোর ওপর ‘শিগগির’ পাল্টা শুল্ক বসানো হবে। গত মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওয়াশিংটন সফরের সময়ও ট্রাম্প এ বিষয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন।

ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত এই নতুন শুল্ক ব্যবস্থায় কোনো ছাড় পাবে না। এ নিয়ে আমার সঙ্গে কেউ বিতর্ক করতে পারবে না।

আগামী ২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন শুল্ক ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দেশের শুল্কহার অনুযায়ী পাল্টা শুল্ক বসাবে। ট্রাম্প বলেন, যতটা তারা আমাদের ওপর শুল্ক ধার্য করবে, ততটাই আমরা তাদের ওপর করবো। এটিই পারস্পরিক শুল্ক—দুই দিকেই সমান হার। যদি তারা আমাদের বাজারে প্রবেশে অশুল্ক বাধা রাখে, আমরাও তাদের জন্য একই ব্যবস্থা রাখবো।

ট্রাম্পের ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এর আগে তার প্রশাসন মেক্সিকো, কানাডা ও চীনের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপ করেছিল, যেখানে অবৈধ অভিবাসন ও মাদক চোরাচালানের মতো বিষয়গুলোকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প কানাডার অর্থনীতিকে ধ্বংসের চেষ্টা করছেন, যাতে যুক্তরাষ্ট্র একসময় কানাডাকে নিজ ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। পাশাপাশি, তিনি অভিযোগ করেন যে ওয়াশিংটন তার মিত্রদের টার্গেট করছে, অথচ ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার প্রতি ‘আপসমূলক’ মনোভাব দেখাচ্ছে।

 

সূত্র: এনডিটিভি/ জা ই/ এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *