খেলা ডেস্ক
৩৬ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৫টি সেঞ্চুরি ও ১০টি ফিফটি। ব্যাটিং গড় ৩০–এর একটু বেশি। ব্যাটসম্যান শান মাসুদের এই পরিসংখ্যান আহামরি না হলেও খুব খারাপও নয়।
কিন্তু টেস্ট অধিনায়ক মাসুদের অর্জ ণ এখনো শূন্য। ৩৪ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের নেতৃত্বে পাকিস্তান এখন পর্যন্ত খেলেছে ৬টি টেস্ট, হেরেছে ৬টিতেই। মাসুদ এরই মধ্যে নেতৃত্বের অভিষেকের পর থেকে টানা টেস্ট হারা পাকিস্তানের অধিনায়কদের মধ্যে শীর্ষে উঠে গেছেন।
দুই মাসুদের মাঝখানে আছেন আরও দুই বাংলাদেশি অধিনায়ক—খালেদ মাহমুদ ও মোহাম্মদ আশরাফুল। মাহমুদের অধিনায়কত্বের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানা ৯ টেস্টে হেরেছিল বাংলাদেশ। তাঁর দল সব কটি ম্যাচ খেলেছিল ২০০৩ সালে। আশরাফুল ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন ১৩টি টেস্টে। বৃষ্টির আশীর্বাদে ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট ড্র করার আগে টানা ৮টি টেস্টে হেরে যায় তাঁর দল।
সেই ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার দারুণ সুযোগ ছিল নিজেদের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে মুশফিক–লিটন–মিরাজদের বিপক্ষে সেই সিরিজেও ২–০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয় পাকিস্তান। আজ তাঁর নেতৃত্বে মুলতান টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে গেছে ইনিংস ও ৪৭ রানের ব্যবধানে, যা টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ইনিংসে ৫০০–এর বেশি রান তুলেও ইনিংস ব্যবধানে হারের প্রথম নজির।

গত মাসের বাংলাদেশের কাছে ধবলধোলাই হয়ে জাতির কাছে ক্ষমতা চেয়েছিলেন শান মাসুদ। আজ ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর পুরোনো কথাগুলোই তিনি ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে বলেছেন, ‘হারের দায় নিজেদের কাঁধে নিচ্ছি। দল হিসেবে এবং ক্রিকেট খেলুড়ে জাতি হিসেবে আমাদের সবকিছু ঠিকঠাক করতে হবে। দলের সবাই আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পরের ম্যাচগুলোতেও সর্বস্ব নিংড়ে দিয়ে খেলব।’