রাত ৪:৩৩ | বৃহস্পতিবার | ১৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

জলবায়ু পরিবর্তনের খড়গে বাংলাদেশের চিরচেনা ষড়ঋতুর ভারসাম্য ভেঙে যাচ্ছে

বিশেষ প্রতিবেদন

 

মোহাম্মদ জাফর ইকবাল

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

 

 

বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, মাঘ মাস শীতকালীন ঋতুর অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত, পৌষ ও মাঘ এই দুই মাসকে শীতকাল ধরা হয়। সবশেষ গত ৫-১০ বছর আগেও মাঘ মাসে ঘনঘন লম্বা শৈত্যপ্রবাহ, কনকনে ঠান্ডার অনুভূতি এবং কুয়াশায় চারপাশ ঢেকে যেত। আর উত্তরবঙ্গের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৫-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও নেমে আসত। কিন্তু জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে আগের মতো সেই কনকনে শীত গত কয়েক বছরে অনুভূত হয় না। একইসঙ্গে শীতকালের পরিব্যাপ্তি ছোট হয়ে আসায় শীতের দিনগুলোও অনেকটা কমে গেছে। সবচেয়ে আশঙ্কার কথা হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের খড়গে বাংলাদেশের চিরচেনা ষড়ঋতুর ভারসাম্য ভেঙে গেছে। আগে ছয়টি ঋতুর স্পষ্ট পার্থক্য ছিল। কিন্তু এখন গ্রীষ্ম ও বর্ষার দাপটে শীত যেমন ক্ষীণ হয়ে এসেছে, তেমনি শরৎ, হেমন্ত ও বসন্তকালও প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বাৎসরিক প্রতিবেদনেও এমন চিত্র উঠে এসেছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে বাংলাদেশের আবহাওয়া সম্পূর্ণ ওলট-পালট হয়ে গেছে। এটি (জলবায়ুর পরিবর্তন) প্রাকৃতিক পরিবেশ, কৃষি, জনজীবন, অর্থনীতি সহ সামগ্রিক বিষয়গুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ফলে, শীতকাল বা মাঘ মাস জুড়ে হাঁড়কাপানো শীতের অনুভূতি দূরে থাক, বরং মাঘ মাস শেষ হওয়ার আগেই শীত শেষ হয়ে গেছে। একইসঙ্গে গ্রীষ্মকাল শুরুর আগেই তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রচণ্ড গরম এবং তাপপ্রবাহের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এমন অবস্থায় গত ২ বছরের মতো এবারও দীর্ঘ সময়জুড়ে গ্রীষ্মকাল ও বর্ষাকাল চলমান থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে, বছরের অধিকাংশ সময়জুড়ে তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতি এবং তাপপ্রবাহের কারণে মানুষজন নাকাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে আগামী মার্চ মাসের শুরু থেকেই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গ্রীষ্মের মতোই গরম শুরু হতে পারে বলেও মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

সূত্র মতে, ২০২৪ সাল ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ২০২৪ সালে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের ১২ মাসের স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় প্রতিটি মাসেই খুব কাছাকাছি ছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানুয়ারি মাসে সর্বোচ্চ ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ফেব্রুয়ারি মাসে ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মার্চ মাসে ৩১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এপ্রিল মাসে ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মে মাসে ৩২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জুন মাসে ৩১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জুলাই মাসে ৩১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আগস্ট মাসে ৩১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেপ্টেম্বর মাসে ৩১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অক্টোবর মাসে ৩১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, নভেম্বর মাসে ২৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ডিসেম্বর মাসে ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, বছরের ৪টি মাস ছাড়া বাকি সবগুলো মাসেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার গড় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর ছিল।

আবার এর বিপরীতে আবহাওয়া অধিদপ্তর সর্বনিম্ন স্বাভাবিক তাপমাত্রা হিসেবে জানুয়ারি মাসে ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মার্চ মাসে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এপ্রিল মাসে ২৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মে মাসে ২৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জুন মাসে ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জুলাই মাসে ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আগস্ট মাসে ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেপ্টেম্বর মাসে ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অক্টোবর মাসে ২৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, নভেম্বর মাসে ১৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ডিসেম্বর মাসে ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। এখানেও দেখা যাচ্ছে বছরের মাত্র ৩টি মাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) এবং মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা বলছে, ২০২৪ সাল ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ২০২৪ সালে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংস্থা সিথ্রিএস-এর তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি, যা বন্যা, খরা এবং তীব্র দাবদাহের মতো চরম আবহাওয়া পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

এছাড়া, ২০২৪ সালের ১০ জুলাই বিশ্বব্যাপী ৪৪ শতাংশ অঞ্চল চরম তাপমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং ২২ জুলাই ছিল রেকর্ড করা ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ দিন। বাংলাদেশে গত বছরের এপ্রিল মাসে ২৬ দিনের তাপপ্রবাহের রেকর্ড ছিল। ওই সময় গরমে হিটস্ট্রোক করে প্রায় ১৫ জন মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সে অনুযায়ী এবছরও অত্যধিক তাপমাত্রা এবং তাপপ্রবাহ থাকার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে, বছরের শুরুতেই যার কিছুটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দিনের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি অনুভূত হয়েছে (সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দুটোই বেশি ছিল)।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বর্তমান অবস্থা এবং বৈশ্বিক পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২৫ সালে বাংলাদেশে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি গরম পড়তে পারে। জলবায়ুর পরিবর্তনে কৃষি উৎপাদন, জীববৈচিত্র্য, মানুষের জীবনযাত্রা, সবকিছুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। একসময় যে ছয়টি ঋতু একে অপরের পরিপূরক ছিল, সেটি এখন ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসছে। যার প্রভাবে কখনো বেশি বৃষ্টি, কখনো অতিরিক্ত গরম, আবার কখনো দীর্ঘ খরার প্রকোপ বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে তিনি জানান।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রকাশিত সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত বছরের জানুয়ারি মাসে স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এই বছরের জানুয়ারি মাসে গড় তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবছর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে আরও দেখা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সারাদেশে গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, গতবারের মতো এবছরও তাপমাত্রা খানিকটা বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাপমাত্রা ঠিক কোন সময় বেড়ে যাবে, এটি সুনির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বলা যাচ্ছে, এই বছরের গ্রীষ্মকাল বেশ পাকাপোক্তই হবে। তিনি বলেন, ২০২২ সাল থেকে ২০২৭ পর্যন্ত বছরগুলো উষ্ণতম বছর হিসেবে ধরা হয়েছে। বৈশ্বিক আবহাওয়া অফিসগুলো এমন পূর্বাভাসই দিয়েছে। এর কিছু বাস্তবিক প্রমাণও পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রকৃতির স্বাভাবিক কার্যক্রমে অনেকটাই অগোছালো অবস্থা দেখা গেছে। এর মধ্যে, প্রচণ্ড গরমের সময়সীমা বেড়েছে, হঠাৎ করেই কালবৈশাখীর তাণ্ডব দেখা দিচ্ছে, অনিয়মিত বর্ষায় বন্যা-খরার দোলাচল তৈরি হচ্ছে, শীতকাল ছোট হয়ে যাচ্ছে এবং হেমন্ত ও বসন্তের মৃদু আমেজও এখন আর তেমন টের পাওয়া যাচ্ছে না। গত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টিও হয়েছে। দিনের বেলায় গরম আবার রাতের বেলায় ঠান্ডা অনূভূত হচ্ছে। আশঙ্কার কথা হচ্ছে, গত ৭ বছর ধরে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে, যার গড় পরিমাণ ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সালে রাজধানীর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত বছর (২০২৪ সালে) এসে দাঁড়ায় ৩৬.৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অন্যদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৭ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ২০২৪ সালে এসে দাঁড়ায় ৩৭.৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) করা ২০১৭ সাল ও ২০২৪ সালের ঢাকা শহরের দুই সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকার তাপমাত্রার তারতম্যের মূল্যায়ন সম্পর্কিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ক্যাপসের ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালীন সময়ে ২০১৭ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মতিঝিল এলাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে ২০২৪ সালে এসে দেখা গেছে মতিঝিল এলাকায় তাপমাত্রা বেড়ে ৩৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছেছে। অর্থাৎ গত ৭ বছরের ব্যবধানে এই এলাকায় তাপমাত্রা বেড়েছে ৩.৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে রাজধানীর অন্যতম জনবহুল এলাকা গুলিস্তানের ২০১৭ সালের তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২৪ সালে এসে দেখা গেছে গুলিস্তানের বর্তমান তাপমাত্রা ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবাটি এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌহিদুল হাসান নিটোল দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, গত কয়েক দশক ধরেই বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিয়ে বিশ্ববাসীকে সতর্ক করছেন। অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এর ফলে মানব জাতি কী কঠিন সংকটের মুখোমুখি হবে, তারও পূর্বাভাস তারা দিচ্ছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যার ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিশ্বনেতৃবৃন্দ যত দেরি করবেন, ততই বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ ‘ক্লাইমেট রিফিউজি’তে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাবে। শুধু বাংলাদেশ নয় গোটা বিশ্ব মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হিউম্যান মাইগ্রেশনের দিকে ধাবিত হবে।

ওয়াশিংটনের আবহাওয়া ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিশ্ব্যব্যাপী বায়ুমন্ডলে উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। এতে এসব অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেবে। দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার লাখ লাখ লোক পরিবেশগত উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে। তারা অবশ্য এ কথাও বলে আশ্বস্ত করেছেন, উন্নত পরিবেশ, দূষণরোধ প্রযুক্তির দ্রুত ব্যবহারের মাধ্যমে সম্ভাব্য দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি লাঘব হতে পারে।

এ বিষয়ে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, মূলত বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে এমন ঘটনা ঘটছে। বর্ষাকালে ঠিকমতো বৃষ্টি হচ্ছে না। শীতকালে শীত বেশিদিন থাকছে না। আগে তিন মাসের কাছাকাছি শীত থাকত। নভেম্বর ডিসেম্বর জানুয়ারি। যা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেখা যেত। এখন জানুয়ারির মাঝামাঝি বা শেষের দিকে এসে গরমই পড়ছে বলা যায়।

 

জা ই / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *