নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ অঅগস্ট ২০২৪
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্র জনতার এই বিজয়কে যদি আমরা সুসংহত করতে না পারি আবার কিন্তু নব্য ফ্যাসিবাদ এসে হাজির হবে। এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আজ বুধবার দলের এক যৌথ সভা শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছে। আজকে ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এজন্য আমি ছাত্র-জনতা, বিভিন্ন রাজণৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এখন আমাদের সামনে কিন্তু বড় সংগ্রাম বড় লড়াই। সেই লড়াইটা কি? এই বিপ্লবের বিজয়কে সুসংহত করা। এই বিজয়কে যদ্ িআমরা সুসংহত করতে না পারি আবার কিন্তু নব্য ফ্যাসিবাদ এসে হাজির হবেৃ এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
কোনো বিশৃঙ্খলা বিএনপি সহ্য করবে না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন জনগনকে নিজের দায়িত্ব নিয়ে আমাদের অর্জিত বিজয়কে সুসংহত করতে হবে। আজকে কেউ যদি সন্ত্রাস করতে চায়, কেউ যদি চাঁদাবাজী বা অন্য কিছু করে, ক্ষতি করতে চায় সেটা আমাদেরকে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে রুখে দিতে হবে, প্রতিরোধ করতে হবে। আমাদের সুস্পষ্টভাবে বলা আছে যে, সর্বক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা যারা ভন্ডুল করবে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে এবং ভন্ডুলকারীদেরকে এখন যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে, তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। এব্যাপারে আমরা কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সহ্য করব না। বিএনপি সমস্ত অন্যায়কে, সন্ত্রাসকে প্রতিহত করবে। এজন্য সমস্ত দল ও অঙ্গসংগঠন এক সাথে কাজ করবে।বিএনপির দীর্ঘ যাত্রাপথে দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বর্তমান চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের বিশাল ব্যাপ্তি ও বিস্তারের কথা তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে যৌথ সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জমান মিল্লাত, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ দফতর সম্পাদক তারিকুল ইসলাম তেনজিং, অঙ্গসংগঠনের মধ্যে মহানগর বিএনপি উত্তরের সাইফুল আলম নিরব, দক্ষিনের তানভীর আহমেদ রবিন, যুবদলের মোনায়েম মুন্না, নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, রাজিব আহসান, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, উলামা দলের মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজা, মাওলানা কাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেন, জাসাসের হেলাল খান, জাকির হোসেন রোকন, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, মঞ্জরুল ইসলাম মঞ্জু, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।এর আগে দলের প্রতিষ্ঠার ৪৬ বছর উদযাপনে পাঁচদিন ব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি ঠিক করতে বুধবার বিকাল ৪টায় নয়া পল্টনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।