স্পোর্টস ডেস্ক

ভারতের প্রবল আপত্তির মুখে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের সূচিতে এসেছে ব্যাপক জটিলতা। মূল আয়োজন পাকিস্তানে হলেও ভারত সব ম্যাচ খেলছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। যে কারণে ‘এ’ গ্রুপের সবকটি দলকেই পাকিস্তান এবং দুবাইয়ে ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে খেলতে হয়েছে ম্যাচ। বাংলাদেশ, পাকিস্তান দুই দলকেই ভ্রমণক্লান্তি নিয়েই খেলতে হয়েছে ম্যাচ।
এবার একই জটিলতার মাঝে পড়তে যাচ্ছে গ্রুপ ‘বি’ এর দলগুলো। দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তানের মাঝে যারাই সেমিফাইনালে যাবে, তারা উড়াল দেবে দুবাইয়ে। তবে সেটা সাময়িক। একটি দলকে ভারত ও নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পর আবার ফিরতে হবে পাকিস্তানে। ভারতের বিপক্ষে সেমির আগে প্রতিপক্ষ যেন কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার সুযোগ পায়, তার জন্যেই আইসিসির এমন উদ্যোগ। ক্রিকইনফো
আইসিসির এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানিয়েছেন, ৪ মার্চ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালের জন্য যে দল খেলবে, তাদের প্রস্তুতির জন্য সর্বাধিক সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে কারণে সেমিতে উঠা দুই দল দুবাই চলে যাবে। সেই সূত্রে আজই দুবাই যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। আর যদি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর আফগানিস্তান সেমিতে ওঠে, তারাও অতিদ্রুতই দুবাইয়ের ফ্লাইট ধরবে।
যদি দক্ষিণ আফ্রিকাই উঠে সেমিতে, সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ড ম্যাচের পরেই বিমানবন্দরে ছুটতে হবে তাদের। দুই দলই আপাতত সেখানে অবস্থান করবে। ২ তারিখ ভারত ও নিউজিল্যান্ডের ম্যাচের পর জানা যাবে, ভারতের প্রতিপক্ষ হবে কারা। সেই দলটি এরপর দুবাইয়ে থেকে যাবে। অন্য দলটি ৫ তারিখের সেমিফাইনাল খেলতে পাকিস্তানে ফেরত আসবে।
৪ তারিখ যদি ভারত সেমিতে জিতে যায়, সেক্ষেত্রে ৫ তারিখের ম্যাচে জয়ী দলকে আবার ফিরতে হবে দুবাইয়ে। ৯ তারিখ সেখানেই হবে ফাইনাল। আর ৪ তারিখ ভারত হারলে, সেই ম্যাচের জয়ী দল ধরবে পাকিস্তানের ফ্লাইট। সেক্ষেত্রে ফাইনাল হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।
এর আগে, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে পড়তে হয়েছিল এমন জটিলতায়। ১৯ তারিখের ম্যাচ খেলেই পাকিস্তানকে যেতে হয়েছিল দুবাই। সেখানে ২৩ তারিখ তারা খেলেছিল ভারতের বিপক্ষে। বাংলাদেশ ২০ তারিখের ম্যাচ শেষ করে উড়াল দেয় রাওয়ালপিন্ডির দিকে। সেখানে ২৪ তারিখ ম্যাচ ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
বিপরীতে ভারত তাদের সব ম্যাচই খেলেছে দুবাইয়ে। তাদের এমন ফিক্সচার নিয়ে আইসিসিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন সাবেক দুই ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল আথারটন এবং নাসের হুসাইন। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও সমালোচনা করেছেন এমন সূচির কারণে।
জ উ/ এনজি