রাত ১২:৩০ | রবিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

চরমোনাই পিরবিশ্ব ইজতেমা ইসলামি উম্মাহর ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় করবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩১ জানুয়ারি ২০২৫

 

 

মুসলিমদের অন্যতম বৃহৎ সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পির, চরমোনাই দেশবাসী এবং বিশ্বের সব মুসলমানদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে চরমোনাই পির বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমা ইসলামি উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সুদৃঢ়করণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।’

তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে এই বিশ্ব ইজতেমা ইসলাম প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে যুগযুগ ধরে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশ প্রতিবছর সফলভাবে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করে বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। এজন্য আমি মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাই।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। ইসলামের সুমহান আদর্শ সমগ্র মানবজাতির চলার পথের পাথেয়। আমরা ইসলামের সঠিক আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সামগ্রিক কল্যাণ অর্জন করতে পারি। বিশ্ব ইজতেমায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মুসল্লিদের সঙ্গে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের যে সম্মিলন ঘটে তাতে ইসলামকে জানার ও বুঝার পথ সুগম হয়।

মুসলিম বিশ্বের বিজ্ঞ আলেমদের আলোচনা হতে এতে অংশগ্রহণকারীরা মুসলমানদের জন্য করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা পেয়ে থাকেন।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ইজতেমায় আগত বিদেশি মেহমানদের মাধ্যমে আবহমানকাল ধরে উম্মাহর লালিত, অকৃত্রিম সরলতা, অতিথি পরায়ণতা এবং সহিষ্ণুতার আলোকবার্তা বিশ্ব দরবারে পৌঁছে যাবে। এ বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখবে। দেশ ও বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে আমি আশাবাদী।

 

 

টি আই/ এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *