দুপুর ১:০২ | রবিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ঘর নেই, কাপড় নেই : গাজায় তীব্র শীতে মারা যাচ্ছে একের পর এক শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

 

 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শীতের তীব্রতা ও প্রতিকূল আবহাওয়ায় একের পর এক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে এক মাস বয়সের শিশু আলী আল-বাত্রান মারা গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তীব্র শীতই তার মৃত্যুর কারণ।

এর মাত্র একদিন আগে একই কারণে আলি আল-বাত্রানের যমজ ভাই, জুমা আল-বাত্রান মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় একটি আশ্রয়শিবিরে মারা যায়।

গাজা সরকারের তথ্য অফিস জানিয়েছে, বড় ধরনের শৈত্যপ্রবাহ ও হিমপ্রবাহের কারণে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়শিবিরগুলোতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তথ্য অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা এরই মধ্যে সতর্ক করেছি যে, শীতকালীন ঝড় এবং ভয়াবহ হিমপ্রবাহ (তুষার ঢেউ) বাস্তুচ্যুত মানুষদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর নির্মম আগ্রাসনের ফলে আমাদের মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয়শিবিরে বাস করছে। কিন্তু এসব আশ্রয়শিবির শীত প্রতিরোধে সম্পূর্ণ অকার্যকর।

উত্তর গাজার সর্বশেষ হাসপাতালের কার্যক্রমও বন্ধগাজায় ১৭ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ।

এই মানবিক বিপর্যয়ের জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করেছে গাজার প্রশাসন। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর আগ্রাসন এবং গণহত্যার কারণে মানবিক পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি ঘটছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো দেশগুলোও এ হত্যাযজ্ঞে অংশীদার। আমরা এ বর্বরতা বন্ধের আহ্বান জানাই।

গাজার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আবহাওয়ার অবনতির কারণে সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তারা।আপনার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় অন্তত ৫৪ হাজার ৪৮৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৯০ জনেরও বেশি মানুষ। দখলদার বাহিনীর হামলায় পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে অবরুদ্ধে ফিলিস্তিনি এলাকাটি, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।

 

 

সূত্র: আল-জাজিরা/এনজি

 

 

কেএএ/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *