তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
১০ এপ্রিল ২০২৫
বর্তমানে সব গাড়ি এয়ার কন্ডিশনার যুক্ত। গাড়িতে এসি চললে তা অনেকবেশি আরামদায়ক হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন, গাড়িতে এসি ব্যবহার করলে গাড়ি কম মাইলেজ দিতে পারে? গাড়িতে এসি ব্যবহার করলে তেল অনেক বেশি খরচ হয়।
মূলত এসি কাজ করার জন্য যে শক্তি প্রয়োজন, তা এসি নেয় গাড়ির ইঞ্জিন থেকে। ইঞ্জিনের উপরে চাপ সৃষ্টি করে এবং গাড়িকে আরও জ্বালানি ব্যবহার করতে বাধ্য করে।
গাড়ির এসি চালু থাকলে ৪ থেকে ১০ শতাংশ পেট্রোল বা ডিজেলের খরচ বেড়ে যায়। প্রতি ১০০ কিলোমিটারে ০.২ থেকে ১ লিটার পেট্রোল শুষে নেয় এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম। বিশেষজ্ঞদের দাবি, গাড়িতে বেশি এসি চালালে, তা গাড়ির মাইলেজের উপরে ৫ থেকে ৭ শতাংশ প্রভাব ফেলে।
গাড়ির ইঞ্জিন স্টার্ট না করলে এসিও অন হয়না আর ইঞ্জিন চালানোর জন্য প্রয়োজন পড়ে তেলের। যত দীর্ঘ সময় এসি অন থাকবে তত বেশি শক্তির প্রয়োজন পড়বে ইঞ্জিনের, ফলে গাড়ির মাইলেজও কমে।
কিন্তু গাড়িতে এসি চালানোর পরও তেলের খরচ কমানো সম্ভব। আসুন কয়েকটি কৌশল জেনে নেওয়া যাক-
>> গরমে গাড়ি যদি রোদে পার্ক করা থাকে তাহলে গাড়ির ভেতরটা অনেক বেশি গরম হয়ে যায়। চেষ্টা করুন শেডের নিচে পার্ক করতে। আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে গাড়িতে উঠেই আগে এসি চালিয়ে দেবেন না। আগে গাড়ির জানলাগুলো খুলে গরম হাওয়া বের হতে দিন। তারপর এসি চালান। এতে ইঞ্জিনে প্রেশার কম পড়বে।
>> প্রথমেই যখন গাড়ির এসি অন করছেন, তখন তাপমাত্রা বেশি রাখুন, ধীরে ধীরে কমান। এতে আপনার গাড়ির ভেতর অনেক্ষণ পর্যন্ত ঠান্ডা থাকবে এবং তেল বেশি পুড়বে না।
>> গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার সঙ্গেই রিসার্কুলেশন মোডটি বন্ধ করুন। ফলে বায়ুচলাচল হবে এবং গরম বাতাস বেরিয়ে যাবে। পরে গাড়ির ভেতরটা আবার ঠান্ডা হয়ে গেলে রিসার্কুলেশন মোড চালু করুন।
>> গ্রীষ্মে গাড়ির এসি ও কম্প্রেসের নিয়মিত চেক করান। নিয়মিত গাড়ির এসি চেক করতে থাকলে এসি খুব তাড়াতাড়ি গাড়ি ঠান্ডা করতে পারবে ফলে আপনি চাইলে কিছুক্ষণ এসি চালিয়ে তা বন্ধ করেও গাড়ি চালাতে পারেন।
শ ই / এনজি