রাত ১১:২৯ | শনিবার | ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

খান এ সবুবের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী কাল

 

আগামীকাল ২৫ জানুয়ারী উপ-মহাদেশের সংসদীয় রাজনীতির কিংবদন্তী তদানীন্তন জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বাংলাদেশ মুসলিম লীগের পুনর্গঠনের মহানায়ক খান এ সবুব এর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী।

এ উপলক্ষে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ আজ ২৫ জানুয়ারী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল ১১টায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।

খান এ সবুর ১৯১১ সালে ১লা ফেব্রুয়ারী সাবেক খুলনা বর্তমান বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার আট টাকা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা নাজমুল হোসেন খান ছিলেন একজন আইনজীবী। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট সাবেক খুলনা জেলা বর্তমান বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জের কিছু অংশ হিন্দুস্থানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল তখন খান এ সবুর রাজনৈতিকভাবে আন্দোলন করেন এবং বাউন্ডারী কমিশনে আপিলের মাধ্যমে ১৯৪৭ এর ১৮ আগস্ট বিকালে অল ইন্ডিয়া রেডিও ঘোষণা করেন বৃহত্তর খুলনা অঞ্চল তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যারই ধারাবাহিকতায় আজকে খুলনা, বাগেরহাট সাতক্ষীরা আজ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অংশ। মরহুম খান এ সবুর ১৯৬২ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী ও তদানীন্তন জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা ছিলেন। খান এ সবুরের নেতৃত্বে ১৯৭৬ সালের ৮ই আগস্ট মুসলিম লীগ পুনর্গঠিত হয়। খান এ সবুর ১৯৭৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৩টি আসনে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়ে এ দেশে সংসদীয় রাজনীতির বিরল ইতিহাস সৃষ্টি করেন। এর পূর্বে কেউ ৩টি আসনে বিজয় হননি। খান এ সবুর ১৯৮২ সালের ২৫ জানুয়ারী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তিকাল করেন। তিনি মৃত্যুর পূর্বে তার অস্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পদ খান এ সবুর ট্রাস্ট নামে জনকল্যাণে দান করে যান। তারই ঢাকার বাড়ীতে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

 

জা ই / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *