নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
১৭ দিন চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষনে থাকার পর লন্ডন ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় জ্যেষ্ঠ ছেলে তারেক রহমানের বাসায় উঠেছেন খালেদা জিয়া। বিএনপি চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে একথা জানান।
এর আগে তিনি বলেন, সব কিছু ঠিক থাকলে, রিপোর্টগুলো আসলে ইনশাল্লাহ, ম্যাডামের হাসপাতাল থেকে ছুটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এখানকার চিকিৎসকরা যদি উনাকে ছুটি দেয় কারণ কিছু কিছু রিপোর্টের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবারও একজন চিকিৎসক দেখে পরীক্ষা করানোর জন্য দিয়েছিলেন যেগুলো আজ করা হচ্ছে। সেগুলো যদি করানো শেষ হয় সব ঠিক থাকে তাহলে হয়ত ইভিনিংয়ে ছুটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
তবে ছুটি পেলেও উনি সার্বক্ষনিক প্রফেসর জন প্যাট্টিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রস, এই দুইজনের সার্বিক তত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন থাকবেন এবং ম্যাডামের যে মেডিকেল বোর্ড আছে তারাও থাকবেন। অর্থাৎ ইউকের যে নিয়ম সেই নিয়ম মেনেই উনার চিকিৎসা চলবে।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার রিপোর্টগুলো পজেটিভ এসেছে। তিনি শুক্রবার বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় উঠেছেন।
গত ৭ জানুয়ারি খালেদা জিয়া কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ারঅ্যাম্বুলেসে নিয়ে পরদিন যুক্তরাজ্যের ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হয়। এই হাসপাতালটির লিভার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ড এর অধিনে তিনি চিকিৎসাধীন আছে।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন কেমন আছেন জানতে পারলে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ম্যাডাম এখন সার্বিকভাবে অনেকটা বেটার আছেন। কিন্তু উনার যে কথাটা আমরা আগেও বলেছি যে, উনার লিভার ট্রান্সপারেন্ট করার বিষয়টার ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। কারণ মনে রাখতে হবে আমি আগেও কয়েকটি আগে এখানেও (লন্ডন ক্লিনিকের সামনে) আমি বলেছি, উনার বয়সটা একটা বিবেচ্য বিষয় এবং উনার লিভার ডিজিজৃ উনি জেলখানায় যখন ছিলেন একাকীত্ব এবং বলতে গেলে যে চিকিৎসা উনার প্রয়োজন ছিলো সেই চিকিৎসা থেকে উনাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আর দীর্ঘ সময় আটকিয়ে রাখার কারণে যে সময়ে উনাকে বিদেশে নিয়ে আসলে হয়ত আরও দ্রুত সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো সেটি কিন্তু অনেকটাই আজকে এই সময়ে এসে আমরাৃ চিকিৎসকদের বক্তব্য হচ্ছে, হয়ত আগে হলে নতুন চিন্তাভাবনা করা যেতো।
তিনি বলেন,এই অবস্থার মাঝে এখন পর্য্ন্ত আগামীতে লন্ডন ক্লিনিকের মেডিকেল বোর্ডের যে চিকিৎসা অর্থাৎ ঔষধের মাধ্যমে উনার বিভিন্ন রোগের যে চিকিৎসা চলছে সেটা অব্যাহত রাখার জন্য এখন পর্যন্ত এখনাকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এবং জন হপকিংন্সের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাসহ সবাই মোটামুটি একমতৃসেই অনুযায়ী চিকিৎসা চলবে।
এই চিকিসা চলা অবস্থায় উনার শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তিতে যে সকল রিপোর্টের ফলাফল এখনো আসে নাই সেগুলো আসা সাপেক্ষে কয়েকটা তো বাইরেও পাঠানো হয়েছেৃ সেইগুলো আসার সাপেক্ষে পরবর্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহীত হবে। একই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সনের এই সুস্থতা যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য দেশবাসীর কাছে উনি এবং উনার পরিবার এবং আমাদের ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দোয়া চেয়েছেন।
জা ই / এনজি