সকাল ৯:২৯ | শনিবার | ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর থেকে ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

 

কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করা ৬৮ বিদেশিকে আটক করেছে মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস)। এদের মধ্যে ৪৫ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে।

একেপিএস এক বিবৃতিতে জানায়, আটকরা মূলত পর্যটক হিসেবে প্রবেশের দাবি করলেও তারা ইমিগ্রেশন কাউন্টারের দিকে এগোননি। বরং বিমানবন্দরের খাবারের দোকান ও অন্যান্য জায়গায় ঘোরাফেরা করছিলেন এবং বিশেষ কারও জন্য অপেক্ষা করছিলেন বলে সন্দেহ করা হয়।

পরে ৪৫ বাংলাদেশি, ১৬ পাকিস্তানি ও সাত ভারতীয় নাগরিককে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন অপারেশন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি না দিয়ে নোটিশ টু লিভ (ফেরত যাওয়া) দেওয়া হয়।

একেপিএস জানায়, গত জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিমানবন্দরের নজরদারি দল দুই হাজার ৬৫৪ বিদেশিকে যাচাই-বাছাই করেছে, যার মধ্যে ৯০০ জন প্রকৃত পর্যটক না হওয়ায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে চাওয়া পর্যটকদের অবশ্যই নির্ধারিত নিয়ম মেনে চলতে হবে, অন্যথায় তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। দেশটির সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক প্রবেশপথগুলোতে কড়া নজরদারি অব্যাহত থাকবে বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে।

 

মালয়েশিয়ায় অনলাইনে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে ৪৬ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। গ্রেফতারদের মধ্যে বাংলাদেশিও রয়েছেন। তবে কতজন বাংলাদেশি গ্রেফতার হয়েছেন তা জানা যায়নি।

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ (জেআইএম) বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কুয়ালালামপুরের কুচাই লামার বিলাসবহুল আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জেআইএম এর উপ-মহাপরিচালক (অপারেশনস) জাফরি এমবক তাহা বলেন, বুধবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে অভিযানে চীন, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, লাওস ও থাইল্যান্ডের ৪৬ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বয়স ২৩ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে।

ইমিগ্রেশন বিভাগ বলছে, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে জনসাধারণের এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে দেখা গেছে, একটি সিন্ডিকেট কল সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য অফিস স্পেস ভাড়া করে। এই কল সেন্টারের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের সোনা, সম্পত্তি, বিলাসবহুল জাহাজ, স্টক বিনিয়োগ এবং বিদেশি মুদ্রা কেনার প্রস্তাব দিয়ে প্রতারণা করা হতো। তারা কেবল স্থানীয়দেরই লক্ষ্য করেনি, বরং বিদেশের, বিশেষ করে তাদের নিজস্ব দেশ থেকে আসা গ্রাহক বা ভুক্তভোগীদেরও মধ্যে কার্যক্রম চালায়।।

অভিযানে গ্রেফতারদের বৈধ পাস ছাড়া মালয়েশিয়ায় প্রবেশ, পাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করা এবং সামাজিক পরিদর্শন পাসের শর্ত লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অপরাধে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ৫১(৫)(খ) ধারার অধীনে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

 

 

জা ই/ এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *